ফুটবল টুর্নামেন্ট ও পরিবেশ নিয়ে ভাবনা
ফ্রান্সে চলছে ইউরো ২০১৬ ফুটবল টুর্নামেন্ট৷ এর ফলে একদিকে যেমন পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে তেমনি সেই ক্ষতি যতটা সম্ভব কমানোর চেষ্টাও চলছে৷
লাভজনক খেলা
ফুটবলের মতো আর অন্য কোনো খেলা এত বেশি দর্শক টানতে পারে না৷ চলছে ইউরো ২০১৬৷ প্রায় ২৫ লক্ষ দর্শক স্টেডিয়ামে গিয়ে এই টুর্মামেন্টের খেলা দেখবেন বলে আশা করছে উয়েফা৷ টেলিভিশনে খেলা দেখছেন আরও প্রায় দেড়শো মিলিয়ন সমর্থক৷ টিভি স্বত্ত্ব বিক্রি, বিজ্ঞাপন আর টিকিট বিক্রি থেকে পাওয়া যাচ্ছে ২ বিলিয়ন ইউরো৷
পরিবেশের ক্ষতি
১৯৩০ সালের প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপ খেলতে ফ্রান্স দলকে ১৫ দিন ধরে জাহাজে করে উরুগুয়ে যেতে হয়েছিল৷ আর এখন বিমানে করেই সব জায়গায় যাওয়া যায়৷ তবে এতে ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশের৷ যেমন ইউরো ২০১৬ খেলতে আইসল্যান্ড দল বিমানে করে প্যারিসে আসায় যত কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয়েছে তার পরিমাণ ছিল প্রায় ছয় মাস ধরে ধরে গাড়ি চালালে যে পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হবে তার সমান৷
পরিবেশবান্ধব স্টেডিয়াম
জার্মানির একটি পরিবেশবান্ধব স্টেডিয়াম আউগসবুর্গ ক্লাবের৷ কারণ সেখানে মাঠ গরম করতে যে উপায় ব্যবহার করা হয় তাতে প্রতি ম্যাচে প্রায় ১০ হাজার লিটার জ্বালানি তেল সাশ্রয় হয়৷
জ্বালানি উৎপাদক
পরিবেশবান্ধব আরেক স্টেডিয়াম ফ্রান্সের নিস৷ ২০১৩ সালের মে মাস থেকে স্টেডিয়ামটি যত না জ্বালানি খরচ করছে তার চেয়ে বেশি উৎপাদন করছে৷ কারণ স্টেডিয়ামটির ছাদে সৌরপ্যানেল বসানো আছে৷ এছাড়া বৃষ্টির পানি ফেলে না দিয়ে বিভিন্ন কাজে লাগানো হয়৷ বাতাস চলাচলের জন্য আছে বিশেষ ব্যবস্থা৷ স্টেডিয়াম তৈরিতেও ব্যবহার করা হয়েছে প্রায় চার হাজার ঘনমিটার নবায়নযোগ্য কাঠ৷
আবর্জনা প্রক্রিয়াজাতকরণ
২০১২ সালের ইউরোতে ম্যাচপ্রতি একেকজন দর্শক গড়ে এক কেজি করে ময়লা উৎপাদন করেছে৷ উয়েফা বলছে, এর মধ্যে মাত্র ১৮ শতাংশ বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত করা হয়েছে৷
পুনরায় ব্যবহারযোগ্য কাপ
ইউরোপে গ্যালারিতে বসে ম্যাচ দেখা মানেই সঙ্গে বিয়ার থাকা৷ সেই কথা বিবেচনায় রেখে, চলতি ইউরোতে ১০টি স্টেডিয়ামের মধ্যে আটটিতে পুনরায় ব্যবহার করা যাবে এমন কাপে বিয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে উয়েফা৷