ফুটপাথেই যাঁদের সংসার
কলকাতার জনসংখ্যা প্রায় এক কোটি৷ তার ১০ শতাংশ, মানে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ ফুটপাথে থাকেন৷ এঁদের একটা অংশ ঠেলা বা রিকশা চালক, কুলি মজুর, যাঁরা রুটি-রুজির তাগিদে এই শহরে থাকেন৷ বাকিদের জন্ম থেকে মৃত্যু কাটে রাস্তার ধারেই৷
খাওয়া-শোওয়া রাস্তায়
রাস্তায় হলেও প্রত্যেক পরিবারের থাকার নির্দিষ্ট জায়গা থাকে৷ তার মধ্যেই গুছনো সংসার৷ রান্নাঘর, ভাঁড়ারঘর, সব একেবারে গেরস্তবাড়ির মতই৷
অমলীন হাসি
রাস্তায় জন্ম, চূড়ান্ত দারিদ্রের মধ্যে বেড়ে ওঠা, তবু অমলীন থাকে শৈশবের হাসি৷ এটাই অবাক করা৷
মাথার ওপর ছাদ
সকলেই পথবাসী, কিন্তু ভাগ্যবান কেউ কেউ পেয়ে যায় মাথার ওপর ছাদ৷ যেমন দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়াহাটের এই ফ্লাইওভার৷ গোটা ২০ পরিবারের বাস এর তলায়৷
ঘর সামলানো
সংসারের পুরুষ-মহিলারা সবাই কিছু না কিছু খুচরো কাজ করেন৷ রাস্তার সংসার সামলানোর জন্যে থেকে যান বয়স্ক আর শিশুরা৷
এক চিলতে জীবন
সরু একফালি বুলেভার্ডে নড়াচড়ার জায়গা থাকে না৷ দুধারের রাস্তা দিয়ে দিনরাত ছুটে চলে ব্যস্ত ট্রাফিক৷ কিন্তু উপায় কী? তার মধ্যেই পথবাসীদের ঘরবাড়ি৷
ফুটপাথই ঠিকানা
ওদের নিশ্চয়ই কোনো চিঠি আসে না৷ কোন ঠিকানায় আসবে? আজ এই ফুটপাথে বাস, তো কালই হয়ত খেদিয়ে দিল পুলিস৷
ক্ষিদের আগুন
তবু রোজ ফুটপাথের সংসারে উনুনে আগুন পড়ে, হাঁড়ি চড়ে, রান্না চাপে৷ ক্ষিদের আগুন তো কখনও মরে না৷