1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফিলিস্তিনি ছবি নিয়ে জাতিসংঘে ইসরায়েলের হাঙ্গামা

১৪ মার্চ ২০১১

চলচ্চিত্রের সঙ্গে রাজনীতির একটা যোগসূত্র প্রায়ই দেখা যায়৷ কারণ সমকালীন নানা ইস্যু অনেক সময় চলে আসে সেলুলয়েডের ফিতায়৷ সেই নিয়ে এবার হাঙ্গামা জাতিসংঘে৷

https://p.dw.com/p/10Yb4
মিরাল ছবির একটি দৃশ্যছবি: Prokino

ঘটনার সূত্রপাত মিরাল নামে একটি ছবিকে নিয়ে৷ ফিলিস্তিনি সাংবাদিক রুলা জেব্রিয়েলের লেখা উপন্যাস অবলম্বনে এই ছবিটি তৈরি করেছে কান চলচ্চিত্রে পুরস্কার বিজয়ী পরিচালক জুলিয়ান শ্নাবেল৷ আমেরিকান এই ইহুদি পরিচালকের এই ছবিতে উঠে এসেছে ১৯৪৮ সালের পর ইসরায়েল ফিলিস্তিন সমস্যার নানা দিক৷ মূলত ইসরায়েলিদের হাতে ফিলিস্তিনিদের নির্যাতনের নানা কাহিনীই উঠে এসেছে মিরাল ছবিটিতে৷ মোট চারটি দেশের যৌথ অবদানে নির্মিত হয়েছে ছবিটি, তারা হলো ফ্রান্স, ইসরায়েল, ইটালি এবং ভারত৷ এতে মূল চরিত্রে রয়েছেন স্লামডগ মিলেনিয়ার ছবির ভারতীয় অভিনেত্রী ফ্রিডা পিন্টো৷ ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে শ্যুটিং হয়েছে মিরাল ছবিটির৷ এরপর গত ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবেও ছবিটি দেখানো হয়৷ আর আজ দেখানো হবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে৷

কিন্তু সেখানেই গন্ডগোল৷ ইসরায়েলের জোর আপত্তি, ছবিটি রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট এবং এই ধরণের ছবি সাধারণ পরিষদে দেখানোর সিদ্ধান্ত পুরোপুরি রাজনৈতিক৷ তবে জাতিসংঘের মুখপাত্র এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন যে সাধারণ পরিষদে অন্যান্য ছবির পাশাপাশি এই ছবিটাও দেখানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও ইসরায়েলের জোর আপত্তি অব্যাহত রয়েছে৷ উল্লেখ্য, ইসরায়েল বসতি সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে৷ সোমবার এই ছবি জাতিসংঘের মত জায়গায় প্রদর্শিত হলে ইসরায়েলি সরকার আরও বেশি সমালোচনার মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে৷

কিন্তু কী মনে করে এই ছবিটি তৈরি করলেন ইহুদি পরিচালক জুলিয়ান শ্নাবেল? এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এটা ফিলিস্তিনের কাহিনী৷ কিন্তু এটা খুবই বিশেষভাবে মনে রাখার মত যে একজন অ্যামেরিকান ইহুদির কাছ থেকে ফিলিস্তিনের কাহিনী বের হয়ে আসছে৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়