1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফাটা টায়ারের ফর্মুলা ওয়ান

২ জুলাই ২০১৩

রবিবার সিলভারস্টোনে ব্রিটিশ গ্রঁ প্রি-তে কে জিতল, কে হারল সেটাই বড় কথা নয়৷ চারজন ড্রাইভারের গাড়ির পিছনদিকের বাঁ-টায়ার ফেটেছে ঐ প্রচণ্ড স্পিডে গাড়ি চালানোর সময়৷ সবার মুখে সেই কাহিনি৷

https://p.dw.com/p/18zBA
NORTHAMPTON, ENGLAND - JUNE 30: Sebastian Vettel of Germany and Infiniti Red Bull Racing retires on the main straight with an engine failure during the British Formula One Grand Prix at Silverstone Circuit on June 30, 2013 in Northampton, England. (Photo by Mark Thompson/Getty Images)
ছবি: Getty Images

টায়ারের গুণাগুণ নিয়ে ফর্মুলা ওয়ান মোটর রেসিং-এ গোটা মরশুম ধরেই বিতর্ক চলছিল৷ এফ ওয়ানের টায়ার সাপ্লাই করে থাকে পিরেল্লি কোম্পানি৷ তারা গত মে মাসে টায়ার-সংক্রান্ত যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালায়, তা-তে মার্সিডিজ দলের দুই নিয়মিত ড্রাইভার লিউয়িস হ্যামিল্টন ও নিকো রসবের্গ অংশগ্রহণ করেন, কিন্তু আরো বড় কথা: টেস্টে মার্সিডিজের সর্বাধুনিক মডেলের রেসিং কার ব্যবহার করা হয়৷ তাই নিয়ে পিরেল্লি ও মার্সিডিজকে এফ ওয়ান মোটর রেসিং-এর সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান এফআইএ-র আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের সামনে জবাবদিহি পর্যন্ত করতে হয়৷ এটা হলো দিন দশেক আগের ঘটনা৷

কিন্তু পিরেল্লির টায়ারগুলোর মূল সমস্যা হলো, রেস চলাকালীন সেগুলি বড় তাড়াতাড়ি ক্ষয়ে যায়, পরিভাষায় যাকে বলে ‘টায়ার ডিগ্রেডেশন'৷ সেই টায়ার ক্ষয় রবিবার সিলভারস্টোনে এমন একটা চেহারা নেয় যে, ড্রাইভাররা ত্রস্ত, দর্শকরা আতঙ্কিত৷ প্রথম আট রাউন্ডের মধ্যে পিছনের বাম টায়ারটি যাদের ফাটে, তারা হলেন হ্যামিল্টন, ফেরারির ফেলিপে মাসা ও টোরো রসোর জঁ-এরিক ভ্যার্নিয়ে৷ পরে ম্যাকলারেনের সের্জিও পেরেজ-এরও একই দশা৷

চারজন ড্রাইভারের গাড়ির পিছনদিকের বাঁ-টায়ার ফেটেছে ঐ প্রচণ্ড স্পিডে গাড়ি চালানোর সময়৷ সবার মুখে সেই কাহিনি৷
টায়ারের গুণাগুণ নিয়ে ফর্মুলা ওয়ান মোটর রেসিং-এ গোটা মরশুম ধরেই বিতর্ক চলছিল (ফাইল ফটো)ছবি: Reuters

মনে রাখতে হবে, শুধুমাত্র সাড়ে সাতশো কিলো ওজনের বন্দুকের গুলির মতো আকৃতির অত্যন্ত নীচু গাড়িগুলিতে ক্ষণে ক্ষণে গিয়ার চেঞ্জ করে মুহূর্তে দু'শো তিন'শো কিলোমিটার স্পিড তোলাই নয় – তার ওপর যদি টায়ার ফেটে ছেঁড়া ফেট্টির মতো উড়ে গিয়ে ধাতব রিম বেরিয়ে পড়ে, তাহলে ড্রাইভারদের পক্ষে সেটা কতটা বিপজ্জনক হতে পারে৷ শুধু যে গাড়ি চালাচ্ছে, সে-ই নয়৷ কিলো তিনেক রাবার আর টায়ারের ভেতর ইস্পাতের তারের বেল্ট ইত্যাদি ছিটকে গিয়ে পড়ছে ট্র্যাকে, পরের ড্রাইভারদের জন্য যা বিপদের সৃষ্টি করতে পারে৷

ফর্মুলা ওয়ানের পলিটিক্স

রবিবার রেস পরিচালক চার্লি হোয়াইটিং নাকি রেস বাতিল করে দেওয়ার কথাও ভেবেছিলেন৷ রেসের পরে হ্যামিল্টন ও অন্যান্য ড্রাইভারদের বলতে শোনা যায়, টায়ার সংক্রান্ত এই পরিস্থিতি গ্রহণযোগ্য নয়৷ হ্যামিল্টন তো পরিষ্কার বলে দেন: ‘‘ঐ কতগুলো টায়ারের জন্য আমি আমার জীবন বিপন্ন করব কেন?''

বলতে কি, পিরেল্লি সংস্থা নিজেই প্রস্তাব দিয়েছিল, টায়ারের মধ্যে ইস্পাতের বেল্ট না লাগিয়ে, কেভলার নামধারী এক সিন্থেটিক ফাইবারের বেল্ট লাগানোর৷ কিন্তু ফোর্স ইন্ডিয়া, লোটাস ও ফেরারি, এই তিনটি দলের আপত্তিতে পিরেল্লিকে সে পরিকল্পনা বিসর্জন দিতে হয়েছে৷ দলগুলির ভীতি, এর ফলে নাকি তারা প্রতিযোগিতার ক্ষমতা হারাবে৷

ওদিকে কিছু ড্রাইভার যে ধর্মঘট করার হুমকি দিয়েছে, তা-তেই কি ফর্মুলা ওয়ানের মুখোজ্জ্বল হবে?

এসি/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য