1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

'ফলো দ্য ড্রিম' এলভিসকে মনে রেখে

১০ আগস্ট ২০১০

৩০ বছরেরও বেশি সময় আগে কোটি কোটি ভক্তকে কাঁদিয়ে এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেছেন কিং অব রক এন রোল৷ বুঝতে পারছেন না তো? বলছি রক এন রোলের সম্রাট এলভিস প্রেসলির কথা৷

https://p.dw.com/p/OhK9
এলভিস প্রেসলিছবি: AP

তাঁর মৃত্যুর পর অনেক সময় পার হয়ে গেলেও, এই বিশ্বে তাঁর প্রতি ভালোবাসা বা শ্রদ্ধা নিবেদন কিন্তু একটুও কমেনি৷ দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সৌলের উত্তরে পাজুতে নির্মিত 'ফলো দ্য ড্রিম' হলটি যেন তারই প্রতীক৷ এলভিস প্রেসলির কোটি ভক্তেরই একজন দক্ষিণ কোরিয়ার লী জং ইল৷ রক এন রোলের সম্রাটের সম্মানে এই হলটি নির্মাণ করতে জং ইল তাঁর দুটি অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি করেছেন৷ মেমফিসে বিশ্বখ্যাত গ্রেসল্যান্ড মিউজিয়াম থেকে 'ফলো দ্য ড্রিম' হল বহু দূরে হলেও, এটি পরিদর্শনে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শক সমাগম হয়৷ আকর্ষণ করে জাপানি, মার্কিন এবং ব্রিটিশ পর্যটকদের৷

লী জং ইল বলেন, মেমোরিয়াল হলটি অলাভজনক একটি প্রতিষ্ঠান৷ এটি রক্ষণাবেক্ষণ করতে তাঁর প্রচুর ব্যয় হয়৷ জং ইল যখন কথা বলছিলেন, তখন তাঁর গায়ে ছিল এলভিসের মুখচ্ছবি আঁকা একটি কালো শার্ট , আর তাঁর চুলের ছাঁট? অবিকল এলভিস প্রেসলির মতই৷ অবশ্য এই মেমোরিয়াল হলটির সংগ্রহ দেখলেই বোঝা যায়, জং ইল প্রেসলির কতোটা ভক্ত৷ বিভিন্নভাবে তিনি এলভিসের দশ হাজার সংগ্রহ এই হলে রেখেছেন৷ তার মধ্যে পুরোন ৭২টি রেকর্ড রয়েছে৷ যা যুক্তরাষ্ট্র থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার মার্কিন সৈন্যদের ঘাঁটির মাধ্যমে তাঁর হাতে এসেছে৷ এছাড়াও হলের বাইরে পার্ক করা রয়েছে একটি সাদা ক্যাডিল্যাক এলডোরাডো৷ ১৯৭৭ সালে এলভিস প্রেসলির কফিনকে যে গাড়িগুলো এসকর্ট করেছিল এই গাড়িটিও ছিল তার মধ্যেই৷

জং ইল জানিয়েছেন তাঁর সমস্ত সংগ্রহই যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল্যবান৷ একই সঙ্গে তিনি বলেন, তাঁর স্ত্রী এবং মেয়েও তাঁর মতোই ভালোবাসেন প্রেসলিকে৷

প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়