প্লুশেনকোর বিদায়
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪১৯৮৪ সাল, অর্থাৎ সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সময় থেকেই শীতকালীন অলিম্পিকের প্রতিটি আসরে ফিগার স্কেটিংয়ে পুরুষদের ব্যক্তিগত ইভেন্টে দাপট দেখিয়ে আসছে রুশ ক্রীড়াবিদরা৷ কিন্তু এবার শেষ মুহূর্তে পিঠের চোটের কারণে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ইয়েভগেনি প্লুশেনকো, ফলে ফাইনালে থাকেনি রাশিয়ার কোনো প্রতিযোগী, যার অর্থ ৩০ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম পুরুষদের ব্যাক্তিগত ইভেন্টে পদকশূন্য থাকবে রাশিয়া৷ বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়েছে রাশিয়ায়৷ ক্রীড়াঙ্গনে তো বটেই, রাজনীতির অঙ্গনেও বয়ে চলেছে সমালোচনার ঝড়৷ সমালোচকদের একটাই প্রশ্ন – পুরুষদের দলগত বিভাগে সোনা জয়ের পরই কেন সরে দাঁড়িয়ে তরুণ স্কেটার মাক্সিম কভটুনকে সুযোগ করে দিলেন না প্লুশেনকো?
প্রশ্নটির কোনো জবাব দেননি রাশিয়ার হয়ে এ পর্যন্ত তিনটি অলিম্পিক সোনা জেতা প্লুশেনকো৷ এক সাক্ষাৎকারে ৩১ বছর বয়সি ক্রীড়াবিদ শুধু বলেছেন, ‘‘ভক্তদের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী৷''
এদিকে সংবাদমাধ্যমে প্লুশেনকোর সমালোচনার পাশাপাশি তাঁর প্রতি সমবেদনাও জানানো হচ্ছে৷ দৈনিক সোভিয়েৎস্কি স্পোর্ট খবরের শিরোনামে লিখেছে, ‘‘অসাধারণ এক স্কেটারের ক্যারিয়ার ট্র্যাজেডি দিয়ে শেষ হলো৷'' তবে বিশেষ করে পুটিন সরকার বিরোধীরা সমালোচনামুখর৷ লিবারেল ডেমোক্র্যাট পার্টি অফ রাশিয়া (এলডিপিআর)-র নেতা ভ্লাদিমির জিরিনভস্কি দৈনিক সোভিয়েতস্কি স্পোর্টকে দেয়া সাক্ষাৎকারে প্লুশেনকো এবং রাশিয়ার স্কেটিং ফেডারেশনের তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, ‘‘মনে রাখা উচিত ছিল, এটা রোগীদের ঘর নয়, এটা অলিম্পিক গেমস৷''
রাশিয়ার দু-একটি পত্রিকার দেয়া খবর অনুযায়ী, পুরুষদের ব্যক্তিগত ইভেন্টের ফাইনালের দু'দিন আগে ওয়ার্ম আপের সময় পিঠে চোট পান প্লুশেনকো৷ তারপর তিনি নাম প্রত্যাহার করতে চাইলে ১৮ বছর বয়সি মাক্সিম কভটুনকে রাশিয়ার প্রতিনিধি করার চেষ্টা করা হয়েছিল৷ কিন্তু তখন নাকি কভটুনকে পাওয়া যায়নি৷
এসিবি / ডিজি (এএফপি, এপি)