প্রোটিনের মাত্রা দেখে কিডনির রোগ শনাক্ত করা যেতে পারে
৩ আগস্ট ২০১০সম্প্রতি একটি গবেষণায় একথাই বলা হয়েছে৷
আমেরিকান সোসাইটি অফ নেফ্রোলজি'র একটি গবেষণাপত্রে গবেষকরা বলেছেন, যেসব রোগীর মূত্রে প্রোটিন অ্যালবুমিনুরিয়ার পরিমাণ অনেক বেশি আছে তাদের কিডনির রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা ৫ গুণ বেড়ে যায়৷
অ্যামেরিকার বল্টিমোর শহরের জন হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষক দল জানান, পরীক্ষার এই পদ্ধতি সহজ৷ খরচও কম৷ এবং এই পরীক্ষার মাধ্যমে কিডনির কোন ক্ষতি হয়েছে কিনা তা শনাক্ত করা সম্ভব হবে আগেভাগেই৷
দেখা গেছে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্যে শতকরা ১.৬ জনই এসেছেন কিডনির সমস্যার চিকিৎসা নিতে৷ কেউ যদি রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে আসেন ও তাঁর শরীরে অন্য কোন অসুবিধা না থাকে তাহলে চিকিৎসার মাধ্যমে তাকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব৷ কিন্তু দেখা যায়, বেশিরভাগ রোগী এমন পর্যায়ে আসেন যখন কিডনির সাঙ্ঘাতিক রকমের ক্ষতি হয়ে গেছে৷ রক্ত থেকে দূষিত জিনিসগুলো ফিল্টার করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে কিডনি৷ফলে তখন ডায়ালিসিস ও কিডনি প্রতিস্থাপন করা ছাড়া উপায় থাকেনা৷
ডা.মরগ্যান গ্র্যামস এ গবেষণা দলে কাজ করেছেন৷ তিনি ও তাঁর সহকর্মীরা ১১ হাজার ২০০ রোগীর ওপর পরীক্ষা চালান৷ তাদের মেডিকেল রেকর্ডের ওপর চোখ রাখেন তাঁরা৷ রোগীদের আলবুমিনুরিয়া প্রোটিন পরীক্ষা ছিলো রোগীদের চিকিৎসার একটা অংশ৷ গবেষকরা দেখতে পান যে, স্বল্প মাত্রার আলবুমিনুরিয়া প্রোটিন পাওয়া গেছে যাদের প্রস্রাবে, তাদেরও কিডনির বড় রকমের ক্ষতি হতে পারে৷
অ্যামেরিকান সোসাইটি অফ নেফ্রোলজি বলছে, প্রায় ৩০ মিলিয়ন অ্যামেরিকান অর্থাৎ দেশটির মোট জনসংখ্যার শতকরা ১০ ভাগ মানুষই কিডনির রোগে আক্রান্ত৷ প্রতি বছর ১ লাখেরও বেশি অ্যামেরিকানের কিডনি নষ্ট হয়ে যায়৷ এবং তার মূল কারণ বহুমূত্র রোগ৷ একজন মানুষের কিডনি কতটা ঝুঁকির মধ্যে আছে চিকিৎসকরা প্রোটিনের মাত্রা পরীক্ষা করে তা জানিয়ে দিতে পারবেন৷
প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক