প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলো তৃণমূল কংগ্রেস
১৮ মার্চ ২০১১কংগ্রেস হাইকমান্ড আরো দু'একদিন সময় চাইলেও মমতা বন্দোপাধ্যায় আজ আংশিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে বুঝিয়ে দিলেন দলের নির্বাচনী স্বার্থে আর বিলম্ব করা উচিত হবে না৷ আজ এক সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূল কংগ্রেসের ২২৮টি আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলেন দলের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়৷ তবে জোটের দরজা খোলা রেখে ৬৪টি আসন তুলে রাখলেন কংগ্রেসের জন্য৷ আর দুটি আসন এসইউসিআই-এর জন্য৷ কংগ্রেসের সঙ্গে জোট না হলে ৬৪টি আসনের প্রার্থী তালিকাও তৈরি জানান মমতা বন্দোপাধ্যায়৷
২২৮টি আসনে সমাজের সবস্তরের প্রতিনিধিত্ব থাকছে৷ প্রশাসক, শিল্পপতি থেকে শুরু করে শিল্পী, বুদ্ধিজীবী, গরিব ও তপসিলি৷ ২২৮টির মধ্যে রয়েছেন ৪২জন সংখ্যালঘু এবং ৩৪জন মহিলা প্রার্থী৷ কেন তৃণমূল একতরফা প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলেন,তার কারণ হিসেবে মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, কংগ্রেস হাইকমান্ড এবং শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে ভোটের তারিখ ঘোষণার পর থেকে গত ১৮দিন ধরে দফায় দফায় আলোচনা হয়েছে৷ গতকাল আসন-সমঝোতা নিয়ে ঐকমত্য হবার পরও কেন তাতে সবুজ সঙ্কেত দিল না কংগ্রেস তা বোধগম্য নয়৷
কংগ্রেসের তরফেও জোট নিয়ে কোন সংশয় রাখা হয়নি৷ বলা হয়েছিল তৃণমূলের সঙ্গে জোট করেই ভোটে নামবে তারা৷ যদিও প্রদেশ কংগ্রেস প্রার্থী তালিকা তৈরি রেখেছে, দু'দলের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে আসন-সমঝোতা চূড়ান্ত হলেই যাতে তালিকা ঘোষণা করা যায়৷ আসন-সমঝোতায় আটকাচ্ছে কোথায় ? আটকাচ্ছে আসন সংখ্যা নিয়ে এবং আসনের গুণগত সম্ভাবনা নিয়ে৷ অর্থাৎ যেসব আসনে যে-দলের প্রার্থীর জেতার সম্ভাবনা প্রায় নিশ্চিত, সেইসব আসন নিজেদের হাতছাড়া করতে চাইছে না দু'দলই৷ যেমন ২০০৬-এর বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস যে ২১টি আসনে জিতেছিল সেগুলি থাকবে তাদেরই হাতে৷ প্রাথমিক দরকাষাকষির পর সর্বশেষ পরিস্থিতি অনুযায়ী কংগ্রেস চাইছে এখন ৭০টি আসন আর তৃণমূল ছাড়তে রাজি ৬৪টি আসন৷
প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলেও আসন-সমঝোতা হলে যদি দেখা যায় কোনো আসন নিয়ে দ্বন্দ্ব হচ্ছে তাহলে নির্বাচনী প্রক্রিয়া অনুযায়ী মনোনয়ন পত্র জমা দেবার পরও তা প্রত্যাহার করা যায়৷ রাজ্যের ২৯২টি আসনে ৬দফা ভোটের প্রথম দফা ১৮ই এপ্রিল৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী