1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চাপের মুখে প্রসিকিউটররা

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪

বাংলাদেশে জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী আপিল বিভাগের রায়ে মৃত্যুদণ্ড থেকে রেহাই পেয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ায়, তোপের মুখে রয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম৷

https://p.dw.com/p/1DJic
Internationales Gericht in Dhaka Bangladesch ARCHIVBILD
প্রতীকী ছবিছবি: AP

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এখন রাষ্ট্র নিয়োজিত আইনজীবী বা প্রসিকিউটর ১৭ জন৷ ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নির্বাহী সভাপতি শাহরিয়ার কবির দাবি করেছেন, তাঁদের অধিকাংশই ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর হবার যোগ্য নন৷ তিনি ডয়চে ভেলের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ‘‘প্রসিকিউটরদের অধিকাংশই খণ্ডকালীন হিসেবে কাজ করছেন৷ ‘ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর' – এই সাইনবোর্ড ব্যবহার করে তাঁরা অন্য আদালতে বিভিন্ন ধরণের মামলা পরিচালনা করছেন৷ এমনকি কোনো কোনো প্রসিকিউটরের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের বাইরে জামায়াত নেতাদের মামলা পরিচালনার মতো অনৈতিক কাজের অভিযোগও আছে৷''

তিনি বলেন, ‘‘সরকার প্রসিকিউটরদের পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না দেয়ায় এখানে ভালো আইনজীবী পাওয়া যায় না৷ ফলে শুরু থেকেই ট্রাইব্যুনালে একটি অদক্ষ প্রসিকিউটর এবং তদন্ত দল গঠিত হয়েছে৷'

শাহরিয়ার কবির দাবি করেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর মামলা পরিচালনায় অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছে৷ অ্যাটর্নি জেনারেল আপিল বিভাগে মামলা পরিচালনায় ট্রাইব্যুনালের আইনজীবীদের সহায়তা নেননি – যা ছিল একটি ভুল সিদ্ধান্ত৷ তিনি সাধারণ আইনজীবী দিয়ে মামলা পরিচালনা করেছেন৷ ফলে ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ডের রায় আপিল বিভাগে বহাল থাকেনি, হ্রাস পেয়েছে৷''

তাঁর মতে, ‘‘ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন এবং তদন্ত সংস্থাকে এখন ঢেলে সাজান উচিত৷ এছাড়া আপিল বিভাগের মামলা পরিচালনায় দ৭ আইনজীবীদের কাজে লাগান প্রয়োজন৷''

তিনি বলেন, ‘‘প্রসিকিউিটরদের হতে হবে দক্ষ, সত্‍ ও মুক্তিযুদ্ধের প্রতি দায়বদ্ধ৷ তা না হলে ভবিষ্যতে আরো বিপর্যয় দেখা দিতে পারে৷''

ওদিকে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর রানা দাসগুপ্ত ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘সাঈদীর রায় দিতে প্রসিকিউটররা অদক্ষ তা বলা যাবে না৷ কারণ ট্রাইব্যুনালে সাঈদীর ফাঁসি হয়েছে৷ বরং আপিল বিভাগ তাঁকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে৷ কিন্তু তারা রায়ে কোথাও বলেননি যে তদন্তে বা সাক্ষ্য প্রমাণে ত্রুটি আছে৷ ট্রাইব্যুনালে যে অপরাধ প্রমাণ হয়েছে, আপিল বিভাগেও সেই অপরাধই প্রমাণ হয়েছে৷ এখন আপিল বিভাগ কী দণ্ড দেবে – তা তাদের এখতিয়ার৷''

রানা দাসগুপ্ত বলেন, ‘‘মৃত্যুদণ্ড এবং আমৃত্যু কারাদণ্ডের মধ্যে কতটুকু দূরত্ব তা বুঝতে হবে৷ এই দু'টি দণ্ডের মধ্যে চুল পরিমাণ ব্যবধান থাকতে পারে৷''

রানা দাসগুপ্তের কথায়, ‘‘কাদের মোল্লাকে তো ট্রাইব্যুনাল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল৷ আর আপিল বিভাগ দিয়েছে মৃত্যদণ্ড৷ এর কী ব্যখ্যা থাকতে পারে?''

সরকার ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে পরিবর্তন আনবে – আইনমন্ত্রীর এই কথার জবাবে রানা দাসগুপ্ত বলেন, ‘‘সরকার চাইলে পরিবর্তন আনতে পারে৷ কারণ ট্রাইব্যুনাল সরকারের আদেশে গঠিত হয়েছে৷ এটা সরকারে এখতিয়ার৷''

তিনি বলেন, ‘‘আমিও শুনেছি পরিবর্তন আসবে, তবে কবে তা জানি না৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য