‘প্রশাসনের গাফিলতি আর ছুটির দিন দুর্ঘটনার কারণ'
২৭ মার্চ ২০১৫বাংলাদেশের প্রথম সারির গণমাধ্যম ছাড়াও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সংবাদটি গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে৷
টুইটার ব্যবহারকারী অনেকেও খবরটি শেয়ার করেছেন৷
এদিকে আয়ান সাহা তাঁর ফেসবুক পাতায় এ বিষয়ে বেসরকারি ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের একটি ভিডিও প্রতিবেদন শেয়ার করে লিখেছেন, ‘‘এত মানুষের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে৷ শুক্রবার হওয়ার কারণে অতিরিক্ত মানুষের সমাগম হয়েছিল পুণ্যস্নানে৷ প্রশাসন এজন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়নি৷ তাদের মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করছি৷''
তবে আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমে এই ঘটনার কাভারেজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন৷ ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘‘...এই ঘটনার পর আমি আমাদের গণমাধ্যমের ভূমিকা পর্যবেক্ষণ করছি৷ দেখলাম সবচাইতে জনপ্রিয় পত্রিকায় বাম দিকে ছোট করে এই খবর দিয়েছে৷ অন্যান্য পত্রিকায়ও মূল শিরোনাম এটি না৷ এমনকি টেলিভিশনগুলোও কিছুক্ষণ পরপর ব্রেকিং লাইভ দেখাচ্ছে না৷ আমি হলফ করে বলতে পারি, এই রকম একটা ঘটনা যদি সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের কোনো অনুষ্ঠানে হতো, তাহলে সব সংবাদমাধ্যমে এটি শিরোনাম হতো৷ ধরেন ইজতেমাতে যদি এমন হতো, তাহলে নিশ্চয়ই দুই দিন ধরে ব্রেকিং চলতো! সাথে আমাদের ফেসবুকাররাও কেঁদে চোখের জল ভাসাতো৷ আমরা আসলে হিন্দু-মুসলিম রয়ে গেলাম৷ মানুষ হতে পারলাম না৷''
সৈয়দ ফাইয়াজ আহমেদ লিখেছেন, ‘‘মানুষের পায়ের তলায় চাপা পড়ে মানুষ মরাটা যেন আধুনিককালের ভবিতব্য, রুপক৷ হজে গিয়ে, তীর্থে গিয়ে, রিলিফের কিংবা যাকাতের কাপড় নিতে গিয়ে, এর বাইরেরও প্রতিনিয়ত কত পদদলন হচ্ছে৷ একেকটা ঘটনা ঘটে আর বিষাদ এসে ছেয়ে বসে৷ লাঙ্গলবন্দের দশটা অচেনা মানুষের পরিণতিতে বিষাদটা আবার একটু গভীর হলো৷ মানুষ মারা গেলে বড্ড কষ্ট লাগে, তা সে যেই হোক, মানুষ, আমার স্বজাতি৷''
সংকলন: অমৃতা পারভেজ
সম্পাদনা: জাহিদুল হক