1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রধান বিচারপতি নিয়োগে এবারও জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন

২৭ সেপ্টেম্বর ২০১০

জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে বাংলাদেশের নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগ, পাবনায় সরকারি নেতা কর্মীরা কারাগারে, এসব বিষয় আজ জায়গা পেয়েছে বাংলাদেশের সংবাদপত্রে৷ রয়েছে সরকারি নিয়োগে সংসদ সদস্যদের হস্তক্ষেপ নিয়ে স্পিকারের মন্তব্য৷

https://p.dw.com/p/PNDW
Oberstes Gericht in Dhaka, Bangladesch
বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট ভবনছবি: Harun Ur Rashid Swapan

ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকরা কারাগারে

পাবনায় সরকার সমর্থক ২১ জন নেতা কর্মীকে কারাগারে পাঠানোর খবরটি আজ বেশ গুরুত্ব পেয়েছে৷ ডেইলি স্টার, যুগান্তর, সমকাল এই খবরটিকে তাদের শীর্ষ খবর হিসেবে ছেপেছে৷ সমকালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারি দলের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের দ্বন্দ্বের ফলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে৷ উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে পাবনায় সরকারি নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা হামলা চালিয়ে তা ভন্ডুল করে দেয়৷ এই ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়৷ এদিকে এই ঘটনা নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ছেপেছে কালের কন্ঠ৷ এতে বলা হয়েছে, পাবনার বর্তমান অচলাবস্থার জন্য স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুর নিষ্ক্রিয়তাকেও অনেকে দায়ী করছে৷ ঘটনার পরপরই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী পাবনা গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসত বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ, এমনটা বলা হয়েছে কালের কন্ঠের প্রতিবেদনে৷

সরকারি নিয়োগে ক্ষমতাসীন দলের হস্তক্ষেপ

সরকারি নিয়োগে ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্যরা হস্তক্ষেপ করে থাকেন, এই অভিযোগ অনেক পুরনো৷ গতকাল সংসদে এই বিষয়টি উঠলে স্পিকার অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ সরকারি নিয়োগে ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্যদের হস্তক্ষেপ বন্ধের জন্য সরকারকে পরামর্শ দেন৷ এছাড়া কারা এইসব অনিয়মে জড়িত সেটা বের করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠনেরও পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার৷

নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগ

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অন্যতম বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো জিল্লুর রহমান৷ এই খবরটিও যথেষ্ট গুরুত্ব পেয়েছে সংবাদ পত্রগুলোতে৷ আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি বর্তমান প্রধান বিচারপতি মো. ফজলুল করিমের স্থলাভিষিক্ত হবেন৷ পত্রিকাগুলোতে এটাও জানানো হয়েছে যে আপিল বিভাগে এবিএম খায়রুল হকের চেয়ে জ্যেষ্ঠ দুই বিচারপতি রয়েছেন৷ তারা হলেন বিচারপতি মো. আবদুল মতিন এবং বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান৷ এর আগেও জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনের এমন ঘটনা একাধিকবার ঘটেছে৷ অবশ্য সংবিধান অনুযায়ী কে প্রধান বিচারপতি হবেন সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার কেবল রাষ্ট্রপতির৷ এদিকে দৈনিক যুগান্তরের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হতে পারেন বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী