1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জঙ্গি সংগঠন আলফা-নেতাদের সাক্ষাৎ

১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১

আসামে ৩০ বছরের সশস্ত্র লড়াই চালাবার পর আজ নতুনদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী ড: মনমোহন সিং-এর বাসভবনে নিষিদ্ধ-ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আলফার শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/10Gss
আলফার চেয়ারম্যান অরবিন্দ রাজখোয়াছবি: UNI

এ সাক্ষাৎকে সৌজন্যসূচক বলা হলেও, শান্তির লক্ষ্যে নি:সন্দেহে এক বড় পদক্ষেপ৷ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন আলফার চেয়ারম্যান অরবিন্দ রাজখোয়া৷

এর আগে শান্তি আলোচনার রূপরেখা নিয়ে আট সদস্যের আলফা প্রতিনিধিদলের প্রাথমিক বৈঠক হয় প্রথমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম এবং পরে স্রাষ্ট্রসচিব জি কে পিল্লাই-এর সঙ্গে৷ স্থির হয় শান্তি প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যেতে স্বরাষ্ট্রসচিবের অধীনে গঠিত হবে সাত সদস্যের এক কমিটি৷ কমিটি আলোচনা করবে আলফার জঙ্গি শিবির ও তার অবস্থান, তাদের আত্মসমর্পণের নীতি, অস্ত্রশস্ত্র জমা দেয়া এবং আসামে শান্তি বজায় রাখা ইত্যাদি ইস্যু নিয়ে৷ আলফার তিনজন, কেন্দ্র ও রাজ্যের দুজন করে সদস্য নিয়ে গঠিত হবে এক সমন্বয় কমিটি৷

আলফা নেতাদের মতে, আসামে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তারা অংশ নেবেন না৷ রাজ্যে বৈরি সমস্যার সমাধান হবে শান্তিপূর্ণ সংলাপ ও সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে৷ আলফা নেতা শশধর চৌধুরী গত সপ্তাহে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, জনগণের আশা আকাঙ্খা অনুসারে সংবিধানের নমনীয়তার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং তাঁর সাম্প্রতিক বিবৃতিতে৷ আলফার ভবিষ্যত এজেন্ডা তাই হবে আসাম জনগণের আশা আকাঙ্খার ভিত্তিতে৷ আলফার কমান্ডার-ইন-চিফ পরেশ বড়ুয়া শান্তি আলোচনার বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করায় শশধর চৌধুরী বলেন শান্তি আলোচনার সিদ্ধান্ত আলফার সর্বোচ্চ সংস্থা জেনারেল কাউন্সিলের৷

চা ও তেল সমৃদ্ধ আসাম রাজ্যের সব থেকে বড় এই জঙ্গি গোষ্ঠী তথাকথিত সার্বর্ভৌম সমাজতান্ত্রিক আসাম গড়ে তোলার জন্য ১৯৭৯ থেকে শুরু করে সহিংস বিদ্রোহ৷ তাতে মারা যায় কমপক্ষে দশ হাজার লোক৷ আলফার প্রধান ঘাঁটি ছিল ভারত-ভুটান সীমান্তের জঙ্গলে৷ সেনা অভিযানের পর আলফা ঘাঁটি গাড়ে নাগাল্যান্ড, মিজোরাম ও অরুণাচল এবং প্রতিবেশি দেশগুলিতে৷ পরে শান্তি প্রক্রিয়ার পথ সুগম করতে সরকার আলফার সব নেতাদের কারামুক্ত করেন৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী