1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চাপের মুখে ইউক্রেন সরকার

২৯ জানুয়ারি ২০১৪

প্রধানমন্ত্রী মিকোলা আজারভের পদত্যাগের পর বিক্ষোভ-প্রতিবাদে ভাটা পড়লেও ইউক্রেনে এখনো সংকটের নিরসন হয়নি৷ বিরোধীরা কারাবন্দি বিক্ষোভকারীদের নিঃশর্ত মুক্তিসহ আরো কিছু দাবি পূরণের চেষ্টা চালাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/1Ayqm
Ukraine Protest in Kiew Unabhängigkeitsplatz 28.01.2014
ছবি: Reuters

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সহযোগিতা চুক্তি অথবা রাশিয়ার নেতৃত্বে শুল্ক ইউনিয়ন – এই দুই বিকল্পের মধ্যে রাশিয়ার প্রস্তাবে সম্মতি দিয়ে সংকটে পড়েছিল ইউক্রেন সরকার৷ সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে বিরোধীরা৷ দীর্ঘ দিন লাগাতার বিক্ষোভ-প্রতিবাদ চলার পর এক পর্যায়ে সরকার নমনীয় হতে থাকে৷ প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচের কাছ থেকে ইইউ-র সঙ্গে আবার চুক্তি স্বাক্ষর করতে সম্মত হওয়ার ইঙ্গিতও পাওয়া যায়৷

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী মিকোলা আজারভ পদত্যাগ করলে ইউক্রেনের রাজধানীতে উচ্ছ্বাসের ঢল নামে৷ দেশটির সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ফলে মন্ত্রিসভারই আর কার্যকারিতা থাকে না৷ ফলে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করার প্রয়োজন দেখা দেয়৷ প্রেসিডেন্ট ইয়ানুকোভিচ প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করলেও বর্তমান মন্ত্রিসভাকে আরো ৬০ দিন দায়িত্ব পালন করে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন৷ নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের জন্যই এ সময় চেয়েছেন তিনি৷

এদিকে পার্লামেন্টে জরুরি অধিবেশন ডেকে বিক্ষোভ নিষিদ্ধকরণ আইনটিও বাতিল করা হয়েছে৷ তারপরও বিরোধীদের পক্ষ থেকে সরকারের ওপর চাপ অব্যাহত৷ ইইউ এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য পশ্চিমা দেশও পর্যবেক্ষণ করছে ইউক্রেন পরিস্থিতি৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সহযোগিতা চুক্তি থেকে সরে আসার জন্য ইউক্রেনের ওপর চাপ প্রয়োগ করায় ন্যাটো মহাসচিব রাসমুসেন রাশিয়ার সমালোচনা করেছেন৷ যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে টেলিফোনে প্রেসিডেন্ট ইয়ানুকোভিচের সঙ্গে কথা বলেছেন৷ যুক্তরাষ্ট্র চায় ইউক্রেন ইইউ-র সঙ্গে সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করুক৷ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এ কারণে আগেই ইউক্রেনের বিক্ষোভকারীদের প্রতি তাঁর সমর্থন ব্যক্ত করেছেন৷

এসিবি/এসবি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য