প্রথম ম্যাচেই দেখা গেল টিম জার্মানিকে
১৪ জুন ২০১০রোববার প্রতিপক্ষ ছিল অস্ট্রেলিয়া৷ প্রতিপক্ষ হিসেবে তেমন শক্তিশালী নয়, তার ওপর আবার দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে টিম কাহিল লাল কার্ড পেয়ে বের হয়ে যান৷ ফলে বাকি সময় সকারুদের খেলতে হয়েছে ১০ জন নিয়ে৷ কিন্তু এসব বিবেচনায় আনলে জার্মানিকে খাটো করা হয়ে যাবে৷ রোববার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গোটা জার্মান দল খেলেছে একটি টিম হিসেবে, এবং এটাই জার্মান দলের মূল শক্তি৷ স্ট্রাইকার হিসেবে লুকাস পোডলস্কি তাঁর প্রয়োজনীয়তা আবারও দেখালেন, বুড়ো হলেও যে ফুরিয়ে যাননি তা বুঝিয়ে দিলেন মিরোস্লাভ ক্লোসে৷ জার্মান দলের জন্য থমাস ও ম্যুলার এই দুটি নাম নাকি সৌভাগ্যপ্রসূত৷ তো, সেই দুটি নামের অধিকারি থমাস ম্যুলারও গোল করলেন৷ আর শেষ দিকে মাঠে নেমে ব্রাজিলীয় বংশোদ্ভুত কাকাউ প্রথম সুযোগে গোল করে বুঝিয়ে দিলেন সুযোগ পেলে তিনিও দলের জন্য কি করতে পারেন৷
জয়ের পর ক্লোসে বলেন, ম্যাচের সবকিছুই ঠিকঠাক মত হয়েছে৷ এই যেমন তাঁর হেড করে গোল দেওয়া, প্রতিপক্ষকে একবারের বেশি পেনাল্টি বক্সের ভেতর কিক নিতে না দেওয়া ইত্যাদি৷ মধ্য মাঠে মিশায়েল বালাকের অনুপস্থিতি সত্বেও মনে হয়নি জার্মান দলে তাঁর খুব একটা অভাব রয়েছে৷ ফুটবল বিশেষজ্ঞ অরুণাভ চৌধুরীর সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলছিলাম৷ তিনি বললেন, এটা জার্মান দলের জন্য বরং ভালোই হয়েছে৷ কারণ যেসব খেলোয়াড় বালাকের আড়ালে নিজেদের ব্যর্থতাকে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা এতদিন করেছে তাদের এবার সেই উপায় নেই৷ তাই বাধ্য হয়েই সামনে চলে আসতে হয়েছে, কোচকে দেখাতে হয়েছে তাদের পারফরমেন্স৷
জার্মানির এত বড় জয়ের পর গোটা জার্মানিতেই উৎসবের ঢল৷ সমর্থকরা একটু বেশিই আশাবাদী৷ তাই রাস্তায় রাস্তায় অনেক সমর্থককেই বলতে শুনলাম, ফিনালে, ফিনালে৷ মানে ফাইনাল৷ কিন্তু আসলেই কি এতটা সহজ হবে? অরুণাভ চৌধুরী বললেন, মোটেই না, কারণ হিসাব করলে দেখা যাবে, পরের রাউন্ডগুলোতে জার্মানিকে মোকাবিলা করতে হবে স্পেন, পর্তুগাল, আর্জেন্টিনার মত দলগুলোকে৷ তাই শুরুটা এত সুন্দর হলেও তা ধরে রাখতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন টিম জার্মানি৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই