1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রতিবন্ধী তরুণকে নিয়ে হাস্যরসের ভিডিও, ফাঁসলো গুগল

২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০

ঘটনাটি ২০০৬ সালের৷ ইন্টারনেট সার্চ জায়ান্ট গুগল এর ভিডিও সেবায় ইতালি থেকে কেউ একজন আপলোড করেছিল একটি ভিডিও৷ এক প্রতিবন্ধী তরুণকে নিয়ে হাস্যরস করছিল কয়েকজন শিক্ষার্থী৷ ব্যস, এই ভিডিও ফাঁসিয় দিল গুগলকে৷

https://p.dw.com/p/MAS2
ফাইল ফটোছবি: AP

ইতালির এক আদালত গুগল-এর ভিডিও সেবায় থাকা এই ভিডিওর জন্য দুষলো খোদ গুগলকে৷ এজন্য গুগল ইতালির তিন কর্মকর্তাকে ছয় মাসের কারাদন্ডের রায়ও দিয়েছে আদালত৷ যদিও গুগল বলছে, এই ভিডিওর সঙ্গে গুগল কর্মীদের কোন সম্পর্ক নেই৷ বরং আলোচিত ভিডিও নিয়ে সেসময় ইতালির পুলিশ আপত্তি তুললে কয়েক ঘন্টার মধ্যেই গুগল ভিডিও থেকে সরিয়ে ফেলা হয় তা৷

কিন্তু কে শোনে কার কথা! ইতালির আদালত বলছে, এই ভিডিও প্রকাশের মাধ্যমে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ভঙ্গ করা হয়েছে৷ আর তাই যাদের ঘাড়ে দায় পড়লো তারা হচ্ছে সেসময়কার গুগল ইতালির চেয়ারম্যান ডেভিড ড্রুমন্ড, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য জর্জ ডি লস রায়েস এবং সাবেক গোপনীয়তা বিষয়ক কর্মকর্তা পেটার ফ্লিসার৷

এই রায়ে অবশ্য বিস্মিত পুরো বিশ্ব৷ বিশেষত গুগল ভিডিও বা ইউটিউবের মতো ভিডিও শেয়ারিং সাইটগুলোতে যেকেউ যোগ করতে পারে ভিডিও৷ আর এসব ভিডিও বিষয়বস্তুর দায় যদি প্রতিষ্ঠানের উপর পড়ে তাহলে ইন্টারনেটের মূলমন্ত্রই হবে প্রশ্নবিদ্ধ৷ যাকে বলে বাক স্বাধীনতা৷

গুগল তাদের আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতেও জানিয়েছে তা৷ গুগলের ভাষায়, অন্যের আপলোডকৃত বিষয়বস্তুর জন্য গুগল কর্মীর শাস্তির ঘটনা পৃথিবীতে এই প্রথম ঘটলো৷

অবশ্য, গুগল বলেছে ইতালির আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে তারা৷ বিষয়টি নিষ্পত্তিতে লড়বে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত৷

প্রসঙ্গত, ইতালির সরকার একটি নতুন আইন করতে যাচ্ছে যা ভিডিও সেবাদানকারী ওয়েবসাইটগুলোকে টিভি স্টেশনের মতো লাইসেন্স গ্রহণে বাধ্য করবে৷

প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়