1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপে ইসলামপন্থি সন্ত্রাস

১৭ নভেম্বর ২০১৫

প্যারিস হামলার কুশিলবদের অনেকেরই উৎস বেলজিয়াম৷ দুই দেশেই উগ্র ইসলামপন্থিদের দৌরাত্ম্য নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে৷ শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, জার্মানির আখেন শহরে প্যারিস হামলার সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷

https://p.dw.com/p/1H7C9
ছবি: Reuters/Y. Herman

বেলজিয়ামের দুর্বল রাষ্ট্রীয় কাঠামো নাকি পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে৷ প্যারিসের অন্যতম আত্মঘাতী হামলাকারী ব্রাহিম আবদেসালাম প্রায় দু'সপ্তাহ আগে ব্রাসেলস থেকে প্যারিসে এসেছিল৷ সে শহরের মোলেনবেক এলাকায় একটা বার চালাতো৷ সেখানে মাদক চক্রের কারণে স্থানীয় মেয়র সেটি বন্ধ করার নির্দেশ দেন৷ এমন প্রেক্ষাপটে প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলার আলোকে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলস আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসে পড়েছে৷ সেখানকার মোলেনবেক এলাকায় ইসলামি উগ্রবাদীদের দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণ করতে প্রশাসনের ব্যর্থতা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চলছে৷

জার্মানির ‘ডেয়ার স্পিগেল' পত্রিকা এক প্রতিবেদনে বেলজিয়ামের জাতিগত দ্বন্দ্বের প্রেক্ষাপটকে রাষ্ট্রের অচলাবস্থার জন্য দায়ী করেছে৷ ডাচভাষী ফ্লান্ডার্স ও ফরাসিভাষী ওয়ালোনিয়ার মধ্যে উত্তেজনার কারণে দেশটি এমন মাত্রায় ক্ষমতার বিকেন্দ্রিকরণ করতে বাধ্য হয়েছে, যে পারস্পরিক সমন্বয়ের অভাব প্রকট হয়ে পড়েছে৷ যেমন ব্রাসেলস শহরেই ১৯ জন মেয়র ও ৬টি ভিন্ন পুলিশ কর্তৃপক্ষ রয়েছে৷ বেলজিয়ামের সমস্যা নিয়ে একাধিক প্রতিবেদন শেয়ার করেছেন টুইটার ব্যবহারকারীরা৷

প্যারিস হামলার পর সার্বিকভাবে ফ্রান্স ও বেলজিয়ামের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে নানা গাফিলতির অভিযোগ উঠছে৷ সমালোচকরা বলছেন, সব পক্ষ দক্ষতার সঙ্গে কাজ করলে হয়তো এমন এক হামলা প্রতিরোধ করা যেত অথবা অপরাধী এবং তাদের নিয়ন্ত্রণকারীদের দ্রুত চিহ্নিত করা সম্ভব হতো৷ ডেভিড মায়ার ফ্রান্সের নজরদারি অবকাঠামোর দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন৷

দুর্বল অর্থনীতির কারণে ফ্রান্সের পক্ষে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ব্যয় বাড়ানোও সম্ভব নয় বলে মনে করিয়ে দিচ্ছে একাধিক সূত্র৷

ইউরোপের বুকে উগ্র ইসলামপন্থিদের দৌরাত্ম্য বিদেশি অভিবাসীদের স্বার্থের কতটা ক্ষতি করছে? নীচে মন্তব্য করুন৷

সংকলন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য