প্যাকেজিং বর্জ্য রোধে জার্মানির কী করা উচিত?
একদিকে জার্মানিকে যেমন পরিবেশ সচেতন দেশ হিসেবে বলা হয়ে থাকে, তেমনি আবার অন্যদিকে প্যাকেজিং আবর্জনার দিক দিয়ে ইউরোপের মধ্যে এক নম্বরে রয়েছে দেশটি৷ তার কিছু নমুনা পাবেন এই ছবিঘরে৷
অপচয়ে জার্মানি এগিয়ে
প্রতিটি জার্মান বছরে গড়ে ২১৩ কিলোগ্রাম, অর্থাৎ দিনে ৬০০ গ্রামের বেশি প্যাকেট আবর্জনা ফেলে৷ সেই হিসেব ফ্রান্সে ফেলা হয় ১৮৫ কিলোগ্রাম৷ অস্ট্রিয়ায় ১৫০ এবং সুইডেনে জন প্রতি বছরে গড়ে ১০৯ কিলোগ্রাম বর্জ্য ফেলা হয়ে থাকে৷ এই পরিসংখ্যানটি জানা গেছে জার্মানির পরিবেশ সংগঠন ‘ডয়চে উমভেল্টহিল্ফে’ বা ডিইউএইচ৷
অপচয় বৃদ্ধি
যদিও সরকার নানাভাবে কমানোর চেষ্টা করছে, তারপরও গত এক দশকে জার্মানিতে প্যাকেট আবর্জনার অপচয় বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ১৩ ভাগ৷
‘ওয়ান-টাইম’ ইউজ
রিসাইক্লিং-এর জন্য জার্মানিতে প্লাসটিকের বোতল ফেরত দেওয়া হয়, তবে কিছু কোম্পনি আর সেগুলো ফেরত নিতে তেমন আগ্রহী নয়৷ তারা ‘ওয়ান টাইম’ বা মাত্র একবার ব্যবহারযোগ্য ছোট বোতলের ব্যবহার বাড়াতে চায়৷
প্লাস্টিক ব্যাগ
প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যবহার কমাতে কিছু কোম্পানি স্বেচ্ছায় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে৷ যেমন জার্মনির দ্বিতীয় বৃহত্তম সুপার মার্কেট ‘রেভে’ গত জুন মাস থেকে প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে৷ এই চেইন শপের মতে, এভাবেই ১৪০ মিলিয়ন প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যবহার কমানো সম্ভব৷
কাপড়ের ব্যাগ
কিছুদিন আগে পর্যন্তও যে কোনো পণ্য কেনা হলে স্বাভাবিকভাবেই সাথে একটি ব্যাগ দেওয়া হতো৷ তবে এখন ব্যাগের সাইজ অনুযায়ী দশ, বিশ বা পঞ্চাশ সেন্ট মূল্যে ব্যাগ পাওয়া যায়৷ লক্ষ্যণীয় যে, ইদানীং পরিবেশ সচেতন প্রায় সকলের কাছেই কাপড়ের ব্যাগ থাকে৷ যা কিনা সহজেই ছোট করে ভ্যানিটি ব্যাগে ভরে রাখা যায়৷
পরিবেশবান্ধব নয়, তবে ট্রেন্ড
ছোট্ট, ছোট্ট প্লাস্টিকের ফেলে দেওয়া যে কাপগুলো দেখছেন, এগুলোতে কফি ভরা থাকে৷ একটি কাপ মেশিনে ঢুকিয়ে দিলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ধূমায়িত ও অতুলনীয় স্বাদের এককাপ কফি খুব সহজেই তৈরি হয়ে যায়৷ বর্তমানে জার্মনিতে এই কফি অত্যন্ত জনপ্রিয় হলেও তা কিন্তু মোটেও পরিবেশবান্ধ নয়৷ কারণ এই কফি পান করলে সাধারণ কফির তুলনায় আবর্জনা হয় ১৬ গুণ বেশি৷
পরিবেশবান্ধব
জার্মানির ভুপার্টাল শহরে জলবায়ু, পরিবেশ ও জ্বালানি বিষয়ক প্রতিষ্ঠানটি মনে করে, বিভিন্ন কোম্পানি যদি পরিবেশ বান্ধব হয়, তাহলে শতকরা ২০ভাগ বর্জ্য কমানো সম্ভব জার্মানিতে৷