পৌর নির্বাচন হবে দুই বড় দলের মর্যাদার লড়াই
৩ ডিসেম্বর ২০১০এমন ধারণা পৌর নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী আর সাধারণ মানুষের৷ আর তফসিল ঘোষণার পর পরই সক্রিয় হয়ে উঠেছেন প্রার্থীরা৷ সক্রিয় কর্মী-সমর্থকরাও৷ পৌর নির্বাচনের তফসিল ঘোষনণর পরদিন শুক্রবার ঢাকার অদূরে সাভারে গিয়ে দেখা গেল পৌর নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রর্থীদের বাড়ি সরগরম৷ সমর্থক আর কর্মীরা দেখা করতে এসেছেন৷ আর প্রার্থীও তাদের সঙ্গে কথা বলেন নির্বাচনের নানা দিক নিয়ে৷ সেখানে ভীড় করেন সাধারণ মানুষও৷ তারা হিসেব কষেন নির্বাচন নিয়ে, প্রার্থী নিয়ে৷ তাদের মতে সন্ত্রাস দূর করে আইন-শৃংখলা নিয়ন্ত্রণে যে রাখতে পারবে তাকেই তারা ভোট দেবেন৷ প্রার্থীকে হতে হবে জনদরদি ও সৎ৷
পৌর মেয়র প্রার্থী হিসেবে ইতিমধ্যেই নিজেকে ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা হায়দার আলী৷ দেরিতে হলেও নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হচ্ছে এতেই তিনি বেজায় খুশি৷ তার মতে সবাই নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চললে নির্বাচন ভালই হবে৷ তিনি বলেন, মেয়র প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয় সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা বেধে দেয়ায় সবার জন্যই ভাল হয়েছে৷ এতে টাকার খেলা বন্ধ হবে৷
বর্তমান পৌর মেয়র মো. রেফাত উল্লাহর বাসায় গিয়ে দেখা গেল তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে আলোচনায় ব্যস্ত৷ স্থানীয় সমস্যা আর সামাজিক বিষয় নিয়ে কথা বলছেন৷ বললেন, বিএনপি তাকেই প্রার্থী করছে৷ তার মতে এবার ভোটাররা বিএনপিকেই ভোট দেবেন৷ কারণ আওয়ামী লীগ গত দু'বছরে তাদের কোন প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি বলে তিনি মনে করেন৷
আর আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য এবং সাবেক মেয়র আশরাফ উদ্দিন খান ইমুকে পাওয়া যায় তার বাসায়ই এক জরুরি মিটিংয়ে৷ তিনিও প্রার্থী হিসেবে তার কৌশল নির্ধারণে ব্যস্ত৷ দলের মনোনয়ন এখনো নিশ্চিত না হলেও তিনি যে প্রার্থী হবেন তা নিশ্চিত৷তিনি বলেন, এবার নির্বাচনে জনপ্রিয়তার পরীক্ষা হবে আওয়ামী লীগের৷ কারণ, বিএনপির পরীক্ষা আগেই হয়ে গেছে৷ তারা এখন ক্ষমতায় নেই তাই তাদের বদনামও নেই৷
সাভারের এই চিত্র এখন পুরো দেশের৷ ২৬৯টি পৌর এলাকার প্রার্থী, সমর্থক, কর্মী আর সাধারণ মানুষ সবাই ভাবছেন পৌর নির্বাচন নিয়ে৷ কারণ পৌর নির্বাচনে নিয়ম অনুযায়ী দলীয়ভাবে প্রার্থী মনোনয়ন দেয়ার বিধান না থাকলেও বাস্তবে নির্বাচন হবে রাজনৈতিকভাবেই৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক