পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী কমোরভস্কি
৫ জুলাই ২০১০রবিবার অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চূড়ান্ত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে কমোরভস্কি পেয়েছেন ৫৩.০১ শতাংশ ভোট আর তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ইয়ারোস্লাভ কাচিন্সকি পেয়েছেন ৪৬.৯৯ শতাংশ ভোট৷
তবে আগেই নিজের পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছিলেন কাচিন্সকি৷ গত এপ্রিলে একটি বিমান দুর্ঘটনায় নিহত প্রেসিডেন্ট লেখ কাচিন্সকির জমজ ভাই হলেন ইয়ারোস্লাভ কাচিন্সকি৷ উল্লেখ্য, লেখ কাচিন্সকির মৃত্যুর কারণেই এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো৷
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে কমোরভস্কিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থক কমোরভস্কির শাসনামলে প্রতিবেশ দেশ পোল্যান্ডের সঙ্গে জার্মানির সম্পর্ক আরও গভীর হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন৷ রাশিয়াও কমোরভস্কিকে অভিনন্দন জানিয়ে দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের আশা করেছে৷
উল্লেখ্য, লেখ কাচিন্সকির মৃত্যুর পর অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন সংসদের স্পিকার কমোরভস্কি৷ এরপর গত মাসের ২০ তারিখে প্রথম দফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়৷ ঐ নির্বাচনে কমোরভস্কি সর্বোচ্চ ভোট পেলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ব্যর্থ হওয়ায় রবিবার দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের আয়োজন করতে হয়৷
এদিকে, কমোরভস্কির নির্বাচনে দীর্ঘদিন থেকে চলে আসা সরকারের সঙ্গে প্রেসিডেন্টের দ্বন্দ্বের নিরসন হবে বলে আশা করছেন দেশটির রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা৷ কারণ এতদিন দেশ পরিচালনায় ছিল সিভিক প্লাটফর্ম দল৷ আর প্রেসিডেন্ট ছিলেন অন্য দলের৷ পোল্যান্ডের সংবিধানে প্রেসিডেন্টের হাতে অনেক ক্ষমতা দেয়া রয়েছে৷ যেমন তিনি সরকারের যে কোন পরিকল্পনায় ভেটো দিতে পারেন৷ যেমনটা করেছিলেন নিহত প্রেসিডেন্ট লেখ কাচিন্সকি৷ কারণ তিনি ছিলেন ল অ্যান্ড জাস্টিস দলের৷
যাই হোক, সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট কমোরভস্কি দেশটির রাজনৈতিক উত্তেজনা নিরসনে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন৷ এছাড়া, প্রয়োজনীয় অর্থনৈতিক সংস্কারের কথাও বলছেন তিনি৷ তবে আগামী বছরে পোল্যান্ডে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা৷ সে কারণে দলের স্বার্থ বিবেচনা করতে গিয়ে তিনি তাঁর পরিকল্পনা কতটুকু বাস্তবায়ন করবেন সেটা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা৷
আর অন্যদিকে পরাজিত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ইয়ারোস্লাভ কাচিন্সকি বলেছেন, নির্বাচনে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বীতা হওয়ার মানে হচ্ছে সাধারণ নির্বাচনে ল অ্যান্ড জাস্টিস পার্টির ভাল করার সম্ভাবনা রয়েছে৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ