ধর্ষিতার স্মৃতিকথা
২৯ জুলাই ২০১৩ছবিগুলো ১৯৭৭ সালে তোলা৷ দু'টো ফটোসেশনে ছবি তোলার কয়েক সপ্তাহ পর শ্যাম্পেইন এবং এক ধরনের চেতনা নাশক সামান্থা গেইমারকে পান করিয়েছিলেন পোলান্সকি৷ এরপর তিনি সে সময় বয়সে কিশোরী গেইমারের উপর যৌন নিপীড়ন চালান৷ ১৯৯৩ সালে একটি মামলার রায়ে ছবিগুলোর কপিরাইট ফেরত পান গেইমার৷
ইতোমধ্যে পোলানস্কির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে৷ আদালত গেইমারকে পাঁচ লাখ মার্কিন ডলার দিতে পোলানস্কিকে নির্দেশ দিয়েছেন৷ তবে সত্তরের দশকের সেই ধর্ষণের ঘটনা এখনো শেষ হয়ে যায়নি৷ চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে রোমান পোলান্সকির খ্যাতির সঙ্গে গোটা বিশ্বে উড়ে বেড়াচ্ছে তাঁর এই কেলেঙ্কারির খবর৷ ২০০৯ সালে সুইজারল্যান্ডে গ্রেপ্তারও হন তিনি৷ এমনকি পোলান্সকি তাঁর এই অপরাধের জন্য গেইমারের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন৷
পোলান্সকিকে ক্ষমা করেছেন গেইমার৷ কিন্তু তিনি ফিরে পেতে চান তাঁর নিজস্ব পরিচয়, যা তিনি পোলান্সকির কারণে হারিয়েছেন৷ আর সেই ফিরে পাওয়ার বাসনা থেকে তিনি লিখেছেন স্মৃতিকথা৷ বইয়ের নাম, ‘‘দ্য গার্ল: এমারজিং ফ্রম দ্য শ্যাডো অফ রোমান পোলান্সকি৷'' শীঘ্রই বইটি প্রকাশ হবে৷
উল্লেখ্য, ৪৯ বছর বয়সি সামান্থা এখন তিন সন্তান নিয়ে সংসার করছেন৷ ১৯৭৭ সালে সামান্থাকে ধর্ষণের পর পোলান্সকির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়৷ এর পরের বছর আদালতের রায়ের আগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে পালিয়ে যান পোলান্সকি৷ তার বিরুদ্ধে এখনও হুলিয়া জারি রেখেছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ৷
এআই / এসবি (এপি, এএফপি)