1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পোপের চিঠির প্রেক্ষিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

২১ মার্চ ২০১০

ক্যাথলিক গির্জায় শিশুদের উপর যৌন নির্যাতনের জন্য ক্ষমা চেয়ে লেখা পোপের চিঠির প্রেক্ষিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে৷ বিভিন্ন দেশের ক্যাথলিক প্রধানরা পোপের চিঠিকে স্বাগত জানালেও ঘটনার শিকার আইরিশরা এতে সন্তুষ্ট নন৷

https://p.dw.com/p/MYNk
রোমের লুথেরান গির্জায় শিশুদের সাথে পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট (ফাইল ছবি)ছবি: picture alliance/dpa

সম্প্রতি ইউরোপ জুড়ে ধর্মযাজকদের দ্বারা শিশু নির্যাতনের বিষয়টি বেশ আলোচিত হচ্ছে৷ বিশেষ করে পোপের নিজের দেশ জার্মানি, আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া ও হল্যান্ডে এ ধরণের কয়েকটি ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পর এ বিষয়ে পোপের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া আশা করছিল সংশ্লিষ্ট মহল৷ অবশেষে জনগণ, বিশপ, পুরোহিত ও শিশু নির্যাতনের শিকারদের উদ্দেশ্যে লেখা এক খোলা চিঠিতে শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনের ঘটনায় বিশপদের আচরণের জন্য তিনি ক্ষমা চাইলেন৷ খোলা চিঠিতে পোপ বলেছেন, ‘‘যা ঘটেছে তার জন্য আমি খুবই দুঃখিত৷ আমি খোলামনেই এই ঘটনার জন্য লজ্জা প্রকাশ করছি৷ এই ঘটনার শিকার যাঁরা হয়েছেন তাঁদের যন্ত্রনা আমরা আন্তরিকভাবে অনুভব করছি৷''

শনিবার ভ্যাটিক্যান থেকে পোপের যে চিঠির কথা প্রকাশ করা হয়েছে তাতে মূলত আয়ারল্যান্ডের কথা উল্লেখ করা হয়৷ জার্মানি কিংবা অন্যান্য দেশের কথা উল্লেখ করা হয়নি৷ তবুও পোপের এই চিঠিকে জার্মানির জন্য একটি সতর্কবাণী বলে অভিহিত করলেন দেশটির রোমান ক্যাথলিক গির্জার প্রধান রবার্ট সলিৎশ৷ শিশুদের উপর যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে পোপের এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেন সলিৎশ৷

Papst.jpg
পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট (ফাইল ছবি)ছবি: AP

আইরিশ ক্যাথলিক গির্জার প্রধান কার্ডিনাল সিন ব্রাডি পোপের চিঠির প্রশংসা করেন৷ সিন ব্রাডি আশা প্রকাশ করেন যে, পোপের এই পদক্ষেপের ফলে গির্জাসমূহে দুঃখজনক পরিস্থিতির অবসান ঘটবে৷ তবে আয়ারল্যান্ডের গির্জাগুলোর আমূল পরিবর্তনের যে আশা অনেকেই করছিলেন সে ব্যাপারে পোপ কোনো কথা বলেননি৷ এতে ভুক্তভোগীরা হতাশা প্রকাশ করেছেন বলে জানা গেছে৷ ‘ওয়ান ইন ফোর'-এর প্রধান মেভি লুইস বলেছেন, ‘‘পোপের চিঠিতে শুধু আয়ারল্যান্ডের পুরোহিতদের সম্পর্কে বলা হয়েছে৷ তবে এ ব্যাপারে ভ্যাটিকানের দায়িত্বের কথা পোপ উল্লেখ করেন নি৷''

এছাড়া ‘সার্ভাইভার্স অফ চাইল্ড অ্যাবিউজ'-এর প্রধান জন কেলি মনে করছেন, পোপ যে ধরণের তদন্তের কথা বলেছেন তা যথেষ্ট নয়৷ এর ফলে নির্যাতনের শিকাররা কতখানি সুবিচার পাবে তা নিশ্চিত নয় বলে মন্তব্য করেন কেলি৷

প্রতিবেদক: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম