1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পেপার গার্ল, তবে পেপারের নয়

১ আগস্ট ২০১০

পেপার গার্ল - এই তাঁদের নাম৷ যদিও তাঁরা পেপার বিক্রি করেন না৷ খবর জানান শিল্পের৷ তবুও এই নাম৷ বার্লিনে দল বেঁধে কাজ করছেন তাঁরা৷ তাঁদের দেখাদেখি একই কাজ শুরু হয়েছে বিশ্বের আরো কয়েকটি শহরেও৷

https://p.dw.com/p/OZ8D
এটাও কি এক ধরণের আর্ট?ছবি: Miles Aldrige

চলতি পথে হঠাৎ একটা কিছু ধেয়ে এলো আপনার পানে, একটু থমকে দাঁড়ালেন, ধরেও ফেললেন তা৷ কী সেটা, একটা কাগজের রোল৷ কে ছুঁড়লো - খুঁজতে গিয়ে দেখলেন, একটি সাইকেল চলে যাচ্ছে৷ পেছনে গোলাপি রঙের পতাকা৷ রোল খুললেন, দেখলেন অনেকগুলো চিত্রকর্ম৷ এর মধ্যে হয়তো একটি মনে ধরলো আপনার৷ আপনাকে এই রকম আনন্দ দিয়েই সুখ পেপার গার্লের৷ সেই সঙ্গে হয়ে যায় শিল্পীর প্রচারও৷

বার্লিনের পথে হাঁটতে গেলে এই ধরনের মধুর অভিজ্ঞতার মুখে পড়তে হতে পারে আপনাকে৷ শিল্পের খবর শৈল্পিকভাবে আপনাকে জানিয়ে দেওয়ার জন্য তাঁরা তৈরি৷ পেপার গার্ল - এই নামে তাঁদের ডাকা হলেও দলে রয়েছেন ছেলেরাও৷ তবে শুরুতে শুধু মেয়েরা ছিলো বলেই নামটি পেপার গার্লই রয়ে গেছে৷ নতুন শিল্পী কিংবা কবি, যাঁরা প্রচারের আলোয় আসেননি এখনো, তাঁদের প্রচারের কাজটিই করে দেয় পেপার গার্ল৷

এভাবে প্রচারের ভাবনাটি আসে চার বছর আগে৷ যখন জার্মান সরকার যত্রতত্র পোস্টার লাগানো নিষিদ্ধ করে৷ তখন কৌতুক হিসেবেই অনেকে কাজটি শুরু করেন৷ কিন্তু একটা পর্যায়ে একে একটা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার চিন্তা আসে আয়েশা রোনিংগারের মাথায়৷ তারপরই বেশ কিছু মেয়েকে নিয়ে কাজ শুরু করেন তিনি৷ ২০১০ সালে এসে রীতিমতো দাঁড়িয়ে গেছে তাদের কার্যক্রম৷ আয়েশা জানান, এখন ১৮টি দেশ থেকে ২৪০ জন শিল্পী তাদের চিত্রকর্ম পেপার গার্লকে পাঠিয়ে থাকেন৷ তা প্রচারের ব্যবস্থা করার জন্য৷ শুধু বার্লিনই নয়, আমেরিকার নিউ ইয়র্ক, দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউন, রুমানিয়ার বুখারেস্ট আর যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারেও সঙ্গী খুঁজে পেয়েছ বার্লিনের তরুণীরা৷ সেখানেও পেপার গার্লের মতো করে কাজ শুরু হয়েছে৷ ব্লগার, চলচ্চিত্র নির্মাতা আর আলোকচিত্রীরা তো রীতিমতো সমর্থন করছেন এতে৷

ভাবনাটা কীভাবে এলো - জানতে চাইলে আয়েশা ডয়েচে ভেলেকে বলেন, ‘‘রাস্তায় পোস্টার সাঁটানোয় যখন নিষেধাজ্ঞা এলো, তখনি এই চিন্তা মাথায় আসে৷''

প্রতিবেদন: মনিরুল ইসলাম

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক