1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় টিয়া পাখিকে বাঁচাতে চলছে প্রচেষ্টা

১৫ মে ২০১১

পৃথিবীর মধ্যে এমন একটি দেশ আছে যাকে পরিবেশ রক্ষায় অন্যতম দেশ হিসাবেই উল্লেখ করা হয়৷ এই দেশটির নাম কস্টারিকা৷ কিন্তু এরপরেও এই দেশে অনেক প্রাণীর জীবন হুমকির মুখে৷

https://p.dw.com/p/11GCa
Great Green Macaws (Ara ambiguus) +++CC/DGERobertson+++ am 30.10.2010 aufgenommen im Mai 2011geladen Lizenz: http://creativecommons.org/licenses/by-nc-sa/2.0/deed.de
ছবি: CC/DGERobertson

এমনি একটি পাখি ‘বৃহৎ টিয়া'৷ এই পাখি রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে একটি পরিবেশবাদী সংগঠন৷

১৫০২ সালে ক্রিস্টোফার কলম্বাস যখন এই দেশটিতে যান, তখন তিনি এর নাম দিয়েছিলেন ‘সুন্দর সমুদ্র সৈকত আর সোনার দুর্গের দেশ৷ সেই থেকেই এর নাম কস্টারিকা৷ তিনি ভেবেছিলেন এখানে প্রচুর স্বর্ণ রয়েছে, যদিও তা একেবারেই সত্য হয়নি৷ কিন্তু এই দেশটির সম্পদ যদি বলতেই হয়, তাহলে বলতে হবে এখানে আছে অসাধারণ বৃক্ষ আর জীববৈচিত্র৷ কিন্তু এই সম্পদ দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, তারপরেও এই দেশটিকেই উল্লেখ করা হয় জীববৈচিত্র রক্ষার প্রথম সারির প্রথম দেশ হিসাবে৷

আজকাল সেই দেশে গাছ উজাড় হওয়া আর কৃষি জমি বৃদ্ধির কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে এর বাদলা বন৷ এর অন্যতম শিকার হয়েছে বিশাল আকৃতির টিয়া পাখি৷ এই পাখিটিকে বলা হয় পৃথিবীর অন্যতম একটি সম্পদ, যা অন্য কোন দেশে খুব একটা দেখা যায় না৷ গাঢ় সবুজ রঙের এই টিয়া পাখিটির দৈর্ঘ্য ৮৫ থেকে ৯০ সেন্টিমিটার৷ আর ওজনে প্রায় দেড় কিলোগ্রাম৷ আগে খুব দেখা যেত এই পাখিটি সেখানে৷ এখন সংখ্যায় তা কমে গেছে৷ আইইউসিএন এর লাল তালিকাভুক্ত এই পাখিকে বাঁচাতে আর বনকে বাঁচাতে দ্য ট্রপিক্যাল সায়েন্স সেন্টার নামের একটি সংগঠন কাজ করে যাচ্ছে৷ ইতিমধ্যে তারা সরকারকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছে বন বাঁচলে বাঁচবে দেশ, বাঁচবে প্রাণিকুল৷

বর্তমানে সরকার নানা পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে৷ তাদের প্রচেষ্টায় এর আগে রক্ষা পায় একটি বিশাল বাদলা বন৷ যেটিকে ঘোষণা করা হয়েছে সংরক্ষিত বন হিসাবে৷ সেটি ২০০৫ সালের ঘটনা৷ এখন সেটি এবং দেশের অন্যান্য বনাঞ্চল এবং এর আশেপাশের মানুষকে তারা বোঝাতে শুরু করেছেন বন যেন ধ্বংস করা না হয়, কৃষি জমির জন্য বনের জমি নয়৷ আর প্রাণী হত্যা থেকেও যেন দূরে থাকেন তারা৷ এ কাজে তারা বেশ সফলতা পাচ্ছেন বলেই খবর৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক