1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পৃথিবীর তাপমাত্রা সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছেছিল জুনে

১৮ জুলাই ২০১০

পৃথিবীর তাপমাত্রা সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছেছিল জুন মাসে৷ এত বেশি তাপমাত্রার রেকর্ড আর নেই বলে জানিয়েছে মার্কিন জাতীয় সমুদ্র ও বায়ুমণ্ডল প্রশাসন -নোআ৷

https://p.dw.com/p/OO34
গরমে মুক্তি চায় সবাইছবি: dpa

সংশ্লিষ্ট মার্কিন প্রশাসনের জলবায়ু সংক্রান্ত তথ্যকেন্দ্রের উপাত্তে, একসঙ্গে ভূ-পৃষ্ঠ ও সাগরপৃষ্ঠের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে জানুয়ারি-জুন ও এপ্রিল-জুন মাসে৷ ১৮৮০ সাল পর্যন্ত তাপমাত্রার হিসেব বের করে তারই ভিত্তিতে এই তথ্য দেয়া হয়েছে৷

জুন মাসে ভূ-পৃষ্ঠ ও সমুদ্রপৃষ্ঠ মিলিয়ে গড় তাপমাত্রা ছিলো ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা বিংশ শতাব্দীর গড় তাপমাত্রার চেয়ে ০.৬৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি৷ বিংশ শতকে গড়ে এই তাপমাত্রা ছিলো ১৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷

নোআ'র তথ্য অনুসারে, সম্প্রতি কয়েক মাসে গড় হিসেবের চেয়ে বেশি উষ্ণ তাপমাত্রা অনুভূত হয়েছে বিশেষ করে পেরুতে, মধ্যযুক্তরাষ্ট্রে, যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাংশে এবং পূর্ব ও পশ্চিম এশিয়ায়৷

স্বাভাবিকের চেয়ে তাপমাত্রা একদিকে বেড়েছে আবার অন্যদিকে অনেক কমে গেছে স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দেশগুলোতে এবং দক্ষিন চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে৷

বেইজিং-এর জলবায়ু কেন্দ্র দেখতে পেয়েছে যে, ১৯৫১ সালে তাপমাত্রা রেকর্ড হবার পর থেকে ইনার মঙ্গোলিয়া, হাইলংজিয়াং ও জিলিনে এই জুন মাসটি ছিল উষ্ণতম জুন৷ অন্যদিকে গুইঝোও এলাকায় অনুভূত হয়েছে শীতলতম জুন৷

স্পেনের আবহাওয়া কেন্দ্রের তথ্যানুসারে, গত ১৩ বছরের মধ্যে এবার জুন মাসে সবচেয়ে বেশি শীত পড়েছিলো দেশটিতে৷

সমুদ্রপৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা ছিল গত শতাব্দীর গড় তাপমাত্রা ১৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের চেয়ে ০ দশমিক ৫৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ওপরে৷ নোয়া'র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আটলান্টিক মহাসাগরের জলই ছিল সবচেয়ে উষ্ণ৷

আর ভূ-পৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা ঐ মাসে বিংশ শতাব্দীর ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস গড় তাপমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক ০৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিলো৷

এদিকে বাংলাদেশ আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এবছর দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহী ও ঈশ্বরদীতে এপ্রিলের ১১ তারিখে, ৪২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ তবে জুন মাসের প্রথম ও শেষের দিকে মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টি হয়েছে সারাদেশেই৷ এতে তাপামাত্রা কিছুটা কমে আসে৷

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক