1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পৃথিবীকে ধ্বংস হতে দেবেন না বিজ্ঞানীরা!

৫ অক্টোবর ২০১০

পৃথিবীকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে চাইছেন বিজ্ঞানীরা৷ এজন্য গবেষণা করছেন ‘লুটেশিয়া’ নামের একটি গ্রহানুপুঞ্জ নিয়ে৷ এখন পর্যন্ত আবিস্কৃত গ্রহানুপুঞ্জের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড়৷

https://p.dw.com/p/PVRy
স্পেসক্রাফট রোসেট্টাছবি: ESA

ধারণা করা হচ্ছে লুটেশিয়ার ব্যাস ১৩৪ কিলোমিটার৷ আর অবস্থান পৃথিবী থেকে প্রায় ৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহের মাঝামাঝি৷

গবেষণা করছে ইউরোপীয়ান স্পেস এজেন্সি বা ইএসএ৷ এজন্য রোসেট্টা নামের একটি স্পেসক্রাফট পাঠিয়েছে তারা৷ এর কাজ লুটেশিয়ার ছবি তোলা৷ গত জুলাইতে চারশো'রও বেশি ছবি পাঠিয়েছে রোসেট্টা৷ এই ছবিগুলো দিয়েই বিজ্ঞানীরা এখন লুটেশিয়াকে জানার চেষ্টা করছেন৷

সম্প্রতি ছবিগুলো থেকে পাওয়া কিছু তথ্য সবাইকে জানানোর জন্য একটি সেমিনারের আয়োজন করেছিল ইউরোপীয়ান স্পেস এজেন্সি৷ এবং সেটা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে৷ কারণ সেখানকার বিজ্ঞানীদের বিষয়গুলো জানিয়ে এ নিয়ে গবেষণা আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় ইএসএ৷

প্রাথমিকভাবে যে তথ্য বিজ্ঞানীরা জানালেন, সেটা হলো লুটেশিয়া বাইরে থেকে দেখতে চাঁদের মত৷ এবং এর আকার অনেকটা আলুর মত৷ তবে পৃষ্ঠদেশ ধূলোয় ভরা, যার ঘনত্ব প্রায় ৬০০ মিটার৷

এখন চেষ্টা চলছে লুটেশিয়ার ভর ও ঘনত্বের পরিমাণ জানার৷ কারণ এই তথ্যগুলো হয়তো পৃথিবীকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে পারবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা৷

লুটেশিয়া সম্পর্কে প্রথম ধারণা পাওয়া গেছে আজ থেকে ১৫৮ বছর আগে৷ প্যারিসে নিজের অ্যাপার্টমেন্টের বারান্দা থেকে এটি আবিস্কার করেছিলেন হেয়ারমান গোল্ডস্মিথ নামের একজন৷ আরেকটা মজার তথ্য দেওয়া যেতে পারে এখানে৷ সেটা হচ্ছে, প্যারিস নামের ল্যাটিন শব্দ হচ্ছে লুটেশিয়া৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়