পুলিশকে জিম্মি হতে হলো এক ঝাঁক মৌমাছির কাছে
২০ আগস্ট ২০১০ঘটনাটি ঘটেছে অ্যামেরিকার উত্তর ক্যারোলিনার ব়্যালে শহরের কাছে৷ সেদিন সকালে পুলিশ ব্র্যান্ডন জেকিন্স রাস্তার পাশে একটি ট্রাককে দাড়িয়ে থাকতে দেখেন৷ ট্রাকটি কেন ঐখানে দাড়িয়ে আছে তা দেখতে গেলেই ঘটে বিপত্তি৷ ষাটটি মৌচাক ছিলো সেখানে৷ এগুলোকে ট্রাকে করে মধুচাষের জন্য ফল বাগানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো৷
মৌমাছি যাতে মৌচাক থেকে বেরিয়ে না আসে সেজন্য সাধারণত রাতেই এদেরকে এভাবে আনা নেওয়া করা হয়৷ কিন্তু ঘটনার দিন দিনের আলো ও গরম পেয়ে ওগুলো মৌচাক ভেঙ্গে বাইরে বেরিয়ে আসে৷
ঐ শহরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার মুখপাত্র ফিলিস স্টিভেন্স বলছেন, ‘রানী মৌমাছিটিকে ছাড়া মৌমাছির ঝাঁকটি আসলে বুঝে উঠতে পারেনি কি করবে! আশেপাশে যে জিনিসগুলো ছিলো তারমধ্যে পুলিশের গাড়িটাই ছিলো বড়৷ যে কারণে গাড়িটিকে ঘিরে ফেলে মৌমাছির ঝাঁক৷'
ত্রিশ হাজার থেকে পঞ্চাশ হাজার মৌমাছি পুলিশের গাড়িটিকে বাইরে থেকে ছেয়ে রেখেছিল৷ ফলে জেনকিনস সেখান থেকে বাইরে আসার ঝুঁকি নিতে পারছিলেন না৷ তিনি তাঁর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ফোন করেন৷ তিনি কোথায় কী অবস্থায় আটকে পড়ে আছেন জানান৷
স্টিভেন্স বললেন, ‘আমাদের খুব সাবধানের সঙ্গে কাজ করতে হয়েছে৷ আশেপাশে অনেক শিশু ছিলো৷ নর্থ ক্যারোলাইনা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌমাছি বিশেষজ্ঞ জেনিফার কেলার কে আমরা ডেকেছিলাম সাহায্য করার জন্য৷'
কেলারও বলছেন, ‘এর আগে আমি কখনও এরকমটি দেখিনি৷ মৌমাছিরা গাড়িটির ওপর এমনভাবে বসেছিলো যে দেখে মনে হচ্ছিলো ওটা ওদের বিশ্রামের জায়গা৷'
কেলার মৌমাছিদের ওপর চিনিপানি ছিটিয়ে দেন৷ তখন মৌমাছিরা একে অপরের শরীর থেকে চিনিপানি খেতে শুরু করে৷ এভাবে তারা কাছাকাছি আসতে থাকে এবং অবশেষে আবারও মৌচাক তৈরি হয়৷ শেষ পর্যন্ত উদ্ধার হলেন জেনকিনস৷
আর সেসময় উদ্ধারকারী কেলার বললেন, ‘আমাকে একটা মৌমাছি হুল ফুটিয়ে দিয়েছে৷ অবশ্য সেটা আমারই দোষ৷ আমি সেটাকে মারতে চেষ্টা করেছিলাম৷'
প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়