1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পুরুষের চেয়ে নারীর শব্দভাণ্ডার বেশি সমৃদ্ধ

১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১১

পুরুষের যোগাযোগ ক্ষমতার চেয়ে মেয়েদের যোগাযোগ ক্ষমতা অনেক বেশি ভালো৷ যদিও মেয়েরা মূলত কথা কম বলে৷ আর এসবই বলেছেন গবেষকরা৷

https://p.dw.com/p/10KHq
ছবি: picture-alliance/chromorange

পুরুষ এবং নারী যোগাযোগের ব্যাপারে কে কতোটা পারদর্শী, সে সম্পর্কিত একটা সমীক্ষার পরে ব্রিটিশ গবেষকরা বলেছেন, পুরুষরা দিনে অনেক বেশি কথা বলে মেয়েদের চেয়ে৷ এবং তারা সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলার ব্যাপারে দুর্বল৷ এই ক্ষেত্রে তারা একই শব্দ বারবার ব্যবহার করে থাকে৷ এবং কাউকে প্রভাবিত করার মতো কথা তারা বলতে পারে না৷ নারীদের বিশেষ প্রয়োজনের কথা ভেবে স্থাপিত ব্রিটিশ বীমা সংস্থা শিলা'স হুইলস চালিয়েছে ঐ সমীক্ষা৷ সেখানে দেখা গেছে, নারীদের যোগাযোগ ক্ষমতা অনেক বেশি৷ এবং তারা সামাজিক পরিস্থিতিতে অনেক ধরণের ভাষা ব্যবহার করে থাকে৷ অন্যদিকে একই পরিস্থিতিতে পুরুষরা ভাষা ব্যবহার করতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে যায়৷

ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জিওফ্রে বেটি বলেছেন, সামাজিকভাবে কথাবার্তা বলার সময়ে পুরুষদের দেখলে মনে হয় যে তারা যেন কথা বলার জন্যেই কথা বলছে৷ এবং একই শব্দ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করছে৷ এবং তাদের কথার মধ্যে নতুন তথ্য থাকে না বললেই চলে৷

গবেষক দল বিষয়টি নিয়ে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে গবেষণা চালানোর সময়ে রেকর্ডিং ডিভাইস ব্যবহার করেছেন৷ ফলে তারা প্রায় ৫০টি আলোচনা ধারণ করতে পেরেছেন৷ সেখানেই দেখা গেছে, গুরুত্বপূর্ণ এবং সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে নারী এবং পুরুষের মধ্যে যোগাযোগের ধরণের ফারাকটা৷

রেকর্ড করা আলোচনা পাঁচজনকে শুনতে দেওয়া হয়৷ তবে তারা শুনেছেন, পাঁচটি ভিন্ন আলোচনা৷ সেখানে প্রতি পঞ্চম শব্দটি মুছে ফেলা হয়েছিল এবং মুছে ফেলা শব্দটি কী হতে পারে তা তাদের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়৷

গবেষকরা বলছেন, দেখা গেছে সামাজিক পরিস্থিতিতে পুরুষরা খুব কম এবং সাধারণ শব্দ ব্যবহার করেছেন এবং তাদের শব্দভাণ্ডারে কোন বৈচিত্র্য ছিল না৷ তারা কী বলতে পারেন তা আগে থেকেই ধারণা করা গেছে৷ দেখা গেছে, প্রশংসার ক্ষেত্রে পুরুষরা শুধু, ‘‘ইউ'', ‘‘রিয়েলি'' এবং ‘‘নাইস'' এই শব্দ তিনটি বারবার ব্যবহার করেছেন৷ অন্যদিকে নারীদের প্রশংসা বাক্যে ছিল বৈচিত্র্য৷ তা ছিল বিশদ এবং সংশ্লিষ্ট ঘটনার সঙ্গে যথাযথ মানানসই৷

প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক