1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পুঁজিবাজারে সার্কিট ব্রেকার চালু: বিক্ষোভ-ভাঙচুর

১৯ জানুয়ারি ২০১১

ঢাকার পুঁজি বাজারে মঙ্গলবারও বিক্ষোভ-ভাঙচুর হয়েছে৷ মঙ্গলবারই প্রথম সূচকের উপর ২২৫ পয়েন্ট সার্কিট ব্রেকার আরোপের পর সূচক কমে যাওয়ায় লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়৷ আর এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বিনিয়োগকারীরা৷

https://p.dw.com/p/zzfA
বিক্ষোভ-ভাঙচুরছবি: AP

দরপতনের পর সোমবার ২য় দফা লেনদেন বন্ধ হওয়ায় মঙ্গলবার সূচকের ওপর সার্কিট ব্রেকার আরোপ করা হয়৷ সূচক ২২৫ পয়েন্টের বেশি বাড়লে বা কমলে লেনদেন সয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে৷ সার্কিট ব্রেকার আরোপের পর মঙ্গলবার দেড়ঘন্টার মাথায় সূচক ২৩৭ পয়েন্ট নেমে গেলে লেনদেন বন্ধ করে দেয়া হয়৷ আর তাতে ক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা মতিঝিল স্টক এক্সচেঞ্জের সামনে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করে৷ ভাঙচুর করে গাড়ি৷ তাদের বিক্ষোভ মতিঝিল থেকে দৈনিকবাংলা মোড় পর্যন্ত ছড়িয়ে পরে৷ ইটপাটকেল আর পুলিশের লাঠিচার্জ-টিয়ারগ্যাসে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়৷

বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বাজারের এই পরিস্থিতির জন্য নতুন কোম্পানিকে প্রিমিয়ামের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আনা, টেলিভিশনে তথ্য সরবরাহে বাধা এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সভাপতি শাকিল রিজভীর একগুয়েমিকে দায়ী করেন৷

অন্যদিকে শেয়ার বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন কিছু ব্যক্তির হাতে শেয়ার বাজার কুক্ষিগত হয়ে পড়েছে৷ কারণ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ২৩৮ জন সদস্য সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেন৷ ফলে কারসাজির সুযোগ থাকে৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু আহমেদ মনে করেন, এই পরিস্থিতির অবসান হওয়া প্রয়োজন৷ সদস্যপদ উন্মুক্ত মানে ডিমিউচুয়ালাইজেশন করা উচিত৷ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক প্রধান নির্বাহী অধ্যাপক সালাউদ্দিন আহমেদও একই কথা বলেন৷ তবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক সভাপতি রকিবুর রহমান এর বিরোধী৷ তিনি বলেন সদস্যপদ উন্মুক্ত করার মত শেয়ার বাজার এখনো পরিপক্ক হয়নি৷

সোমবারের বিপর্যয়ের পর মঙ্গলবার শেয়ার বাজারে লেনদেন শুরু হয়েছিল নির্ধারিত সময়ের ২ ঘণ্টা পর বেলা ১টায়৷ কিন্তু সার্কিট ব্রেকার দিয়েও পরিস্থিতি সামলানো গেলনা৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন