পুঁজিবাজারকে নিয়ন্ত্রণে আনার শর্টকাট পথ নেই
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১১অর্থ প্রবাহ অথবা নতুন শেয়ার ছেড়ে কোন লাভ হবেনা৷ সরকার শেষ পর্যন্ত ভুল বুঝতে পেরে ২১টি সরকারী প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বাজারে না ছাড়ার যে সিদ্ধান্ত তাকে ইতিবাচক বলেছেন সেন্টার পর পলিসি ডায়ালগ – সিপিডির অর্থনীতিবিদ ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জম৷
বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে আমূল সংস্কার প্রয়োজন৷ পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন- এসইসি’র সংস্কার প্রয়োজন সবার আগে৷ সিপিডির অর্থনীতিবিদ ড. খন্কার গোলাম মোয়াজ্জম ডয়চে ভলেকে বলেন, এই প্রতিষ্ঠানটির দক্ষতার অভাব এবং অস্বচ্ছতার জন্যই ডুবতে বসেছে শেয়ার বাজার৷ এর সংঙ্গে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট আরো অনেক প্রতিষ্ঠানের সংস্কার প্রয়োজন৷ কোন সহজ পথে দ্রুততম সময়ে পুঁজিবাজারকে চাঙ্গা করার পরিকল্পনা হবে আত্মঘাতি এবং তা আরো বিপর্যয় ডেকে আনবে৷
তিনি বলেন, ঋন প্রবাহ বাড়িয়ে, বাজারে নতুন সরকারী প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ছেড়ে বাজারকে স্থিতিশীল করা সম্ভব নয়৷ বাজারকে তার স্বাভাবিক গতিতে চলতে দিতে হবে৷ গত একমাসে সরকার বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে আবার তা দ্রুত পরিবর্তন করছে৷ এই ধরনের সিদ্ধান্তহীনতা এবং ঘন ঘন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন পুঁজিবাজারের জন্য ক্ষতিকর৷ সরকারী ২১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বাজারে ছাড়ার সিদ্ধান্ত ছিল ভুল৷ যদিও শেষ পর্যন্ত সে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়েছে৷
ড. মোয়াজ্জেম বললেন, খুব দ্রুত বাজার চাঙ্গা হওয়ার সম্ভাবনা কম৷ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মানসিকতায়ও পরিবর্তন আনতে হবে৷ টাকা বিনিয়োগ করে কয়েকদিনের মধ্যে লাভ করে চলে যাব এই মানসিকতাই পুঁজিবাজারকে অস্থির করে৷ বিনিয়োকারীকে দীর্ঘ মেয়াদে চিন্তা করতে হবে৷
সাউন্ড বাইট
সিপিডির এই গবেষক বলেন, সরকারের উচিত হবে শেয়ার বাজার কেলেংকারীর তদন্ত দ্রুত শেষ করে দায়িদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া৷ তাহলে পৃঁজিবাজারে আস্থার পরিবেশ ফিরে আসবে৷ সবার আগে প্রয়োজন এই আস্থা ফিরিয়ে আনা ৷
প্রতিবেদন : হারুন উর রশীদ স্বপন, ডয়চে ভেলে, ঢাকা
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়