1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘পিলখানার রায়ে অবিচার’

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৬ নভেম্বর ২০১৩

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচারের রায়ে ১৫২ জনকে ফাঁসির আদেশের ঘটনাকে অবিচার বলে আখ্যায়িত করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৷ তাদের মতে, এই ঘটনার মধ্য দিয়ে ১৫২ জনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটল৷

https://p.dw.com/p/1AD27
GettyImages 186903472 Handcuffed Bangladesh Rifles (BDR) soldiers look through a prison van as they arrive at the special court in Dhaka on November 5, 2013. Some 800 Bangladeshi soldiers appeared in a huge specially-built court accused of murder and other serious offences during a bloody mutiny in 2009. During the uprising, which lasted about 30 hours, 74 people -including 57 senior army officers- were killed at a military base in the capital Dhaka. AFP PHOTO/ Munir uz ZAMAN (Photo credit should read MUNIR UZ ZAMAN/AFP/Getty Images)
ছবি: Munir Uz Zaman/AFP/Getty Images

অবশ্য বাংলাদেশের আইনজীবী এবং মানবাধিকার কর্মীরা বলেছেন, এই রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায়বিচার লঙ্ঘিত হয়নি৷ তবে নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছে৷

মঙ্গলবার বিডিআর বিদ্রোহের হত্যা মামলার রায়ে ১৫২ জনকে ফাঁসির আদেশ দেন আদালত৷ এর প্রতিক্রিয়ায় লন্ডন ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, এই রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায়বিচার তো প্রতিষ্ঠিত হয়ইনি, বরং ১৫২ জনকে ফাঁসি দেয়ার ঘটনা ন্যায়বিচারের পরিপন্থী৷

ফাঁসির রায়কে অবিচার উল্লেখ করে অ্যামনেস্টি বিবৃতিতে বলেছে, ২০০৯ সালের ঐ ঘটনা অত্যন্ত বর্বর, নৃশংস এবং গুরুতর৷ বহু মানুষকে শুধু হত্যাই নয় বরং ঐ ঘটনা বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছিল৷ তাই অ্যামনেস্টি ঐ ঘটনায় জড়িতদের একটি স্বচ্ছ বিচার দাবি করে আসছিল৷ কিন্তু এই ঘটনার শাস্তি হিসেবে যদি মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় তাহলে তা দুর্ভাগ্যেরই নামান্তর বলে মনে করে অ্যামনেস্টি৷ তাদের মতে মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে কখনো ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয় না৷

অ্যামনেস্টির এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের উপ পরিচালক পলি ট্রাসকট বিবৃতিতে বলেন, ১৫২ জনকে ফাঁসির আদেশের মধ্য দিয়ে ১৫২ জনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটল৷

তবে বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠন আইন ও শালিস কেন্দ্রের পরিচালক নূর খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তার দৃষ্টিভঙ্গির জায়গা থেকে প্রতিক্রিয়া জনিয়েছে৷ তারা শাস্তি হিসেবে মৃত্যৃদণ্ডের বিরোধী৷ তবে তিনি মনে করেন এই বিচারকাজ সম্পূর্ণ হয়নি৷ এই বিচারের মধ্য দিয়ে হত্যাকাণ্ডে মাঠ পর্যায়ের যারা জড়িত তাদের শাস্তি হলো৷ কিন্তু এর নেপথ্যে যারা আছেন তাদের বিচারতো দূরের কথা তাদের চিহ্নিতই করা হয়নি৷ সাধারণ ডাল-ভাত কর্মসূচির কারণে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড হয়েছে তা কোনোভাইে ঠিক নয়৷ এর পেছনে বড় কোনো অপশক্তি কাজ করেছে৷ তাদের তদন্তের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনা দরকার৷ তিনি বলেন সবচেয়ে ভাল হতো এই মামলায় তাদের আসামি করা৷ কিন্তু তা করা হয়নি৷ তবে এখনো তাদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করার সুযোগ আছে৷ নেপথ্য ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার না হলে এই বিচার পূর্ণাঙ্গ হবে না৷

Logo von Amnesty International, aufgenommen am Donnerstag (12.05.2011) in Berlin bei einer Pressekonferenz. Foto: Britta Pedersen dpa/lbn
এই ঘটনার শাস্তি হিসেবে যদি মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় তাহলে তা দুর্ভাগ্যেরই নামান্তর বলে মনে করে অ্যামনেস্টি৷ তাদের মতে মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে কখনো ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয় নাছবি: picture-alliance/dpa

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশররফ হোসেন কাজল ডয়চে ভেলেকে বলেন, এই বিচারে ন্যায়বিচারের মানদণ্ড লঙ্ঘিত হয়নি৷ বিচার হয়েছে প্রকাশ্য আদালতে৷ আর সবাই সেখানে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পেয়েছেন৷ সাক্ষ্য ও তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই শাস্তি দেয়া হয়েছে৷ কেউ যদি দণ্ড হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা করেন সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার৷ তবে পিলখানার মতো নৃশংস হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত মৃত্যুদণ্ডই তাদের উপযুক্ত শাস্তি৷

সাবেক সামরিক কর্মকর্তা এবং নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহেদুল আনাম খান বলেন, এতবড় একটি নৃশংস ঘটনার বিচার ৪ বছরের মধ্যে শেষ হয়েছে, যা প্রশংসার দাবি রাখে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য