1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পিপীলিকাদের যম প্লস ওয়ানকে পাওয়া গেল ব্রাজিলে

১৪ মার্চ ২০১১

এক নতুন ধরণের ফাঙ্গাস বা ছত্রাকের সন্ধান মিলল ব্রাজিলে৷ যারা পিঁপড়েদের যম৷ নতুন এই পিপীলিকাভূক ছত্রাকের খবর পেয়ে রীতিমত উত্তেজিত বিজ্ঞানীরা৷

https://p.dw.com/p/10YcT
পিঁপড়েদের জগতে মহামারীর সৃষ্টি করে প্লস ওয়ানছবি: picture-alliance/ ZB

পেনসিলভ্যানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক ব্রাজিলের রেইন ফরেস্ট এলাকা বলে পরিচিত মিনাস গেরাইস প্রদেশে বেশ কিছুদিন ধরে গবেষণা চালাচ্ছিলেন কিছু ছত্রাককে নিয়ে৷ সেই গবেষণাতেই জানা গেছে এক আশ্চর্য প্রজাতির নতুন রকমের ছত্রাকের কথা৷ কার্পেন্টার অ্যান্ট বা কর্মচারী পিঁপড়েদের জন্য এই নিরীহ ছত্রাক একেবারে মৃত্যুর অন্যতম পথ৷ বিজ্ঞানীরা বলছেন, পিঁপড়ের শরীরে বাসা বেঁধে তাদের মস্তিষ্ককে অকেজো করে তাকে মেরে ফেলে এই ছত্রাক৷

বিজ্ঞানীরা এই ছত্রাকের নাম রেখেছেন ‘প্লস ওয়ান'৷ সদ্য আবিষ্কৃত এই ছত্রাকের প্রজাতি এক হলেও এদের নানারকমের ভিন্নতা আছে৷ কিন্তু মজার ব্যাপার হল, প্লস ওয়ানের প্রতিটি বিভিন্ন রকমের ছত্রাকের কাজই হল পিঁপড়ে নিধন৷ একেকজন একেকরকম পন্থায় পিঁপড়েদের মৃত্যুর কারণ হয়ে ওঠে তারা৷ যেমন আরেকটি ‘প্লস ওয়ান' ছত্রাকের কায়দা আবার অন্য৷ কোন পিঁপড়ের শরীরে একবার ঢুকে পড়তে পারলে প্লস ওয়ান সরাসরি তার মাথায় পৌঁছে যায়৷ তারপর পিঁপড়ের চলাফেরাকে সে নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে৷ এরপর বেচারা পিঁপড়ে কোন পাতায় খাদ্যের জন্য কামড় বসানো মাত্র তার চোয়াল যায় আটকে সেই পাতার শরীরের শিরা উপশিরায়৷ তারপর অবধারিত মৃত্যু৷

এখানেই শেষ নয়৷ পিঁপড়েদের শরীরে নিজেদের বিষ ঢুকিয়ে সেখানেই বাসা বেঁধে পিঁপড়েকে এই ‘প্লস ওয়ান' ছত্রাক ক্রমশ নিস্তেজ করে মাটিতে পেড়ে আনে৷ সেই মাটি যেহেতু অনেক বেশি জলকণায় ভিজে রয়েছে, অতএব সেখানে দ্রুত বংশ বিস্তার করে এই ‘প্লস ওয়ান' ছত্রাক৷ তারপর একের পর এক পিঁপড়েদের পুরো ডেরায় তারা ঢুকে পড়ে তারা এবং কারণ হয়ে ওঠে তাদের সকলের মৃত্যুর৷ মানে অনেকটা পিঁপড়েদের জগতে মহামারী সৃষ্টি করার মত ব্যাপার! আর সেই পিঁপড়েদের শরীর থেকেই ক্রমশ ‘প্লস ওয়ান' সংগ্রহ করে নিতে থাকে নিজেদের খাবারদাবার৷

প্রকৃতির রাজ্যে এরকম কত বিচিত্র লীলাই যে প্রতিনিয়ত চলছে, সদ্য আবিষ্কৃত এই ‘প্লস ওয়ান' ছত্রাকই তার আরও একটি চমৎকার উদাহরণ৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম