পার্লামেন্ট নির্বাচন শুরু হয়ে গেছে ব্রিটেনে
৬ মে ২০১০আবার অনেক ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এবারের ফলাফল দেশটির রাজনীতিতে নতুন এক মেরুকরণ ঘটাতে পারে৷ শুধু তাই নয়, অন্যান্য জরিপের ফলও লেবার অর্থাৎ শ্রমিক দলের ভরাডুবির দিকে ইঙ্গিত করছে৷ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন দলের ব্যর্থতার কথা অস্বীকার করেননি৷ তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বহু কাজ করার ছিল৷ তার অনেকগুলিই আমি ঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারিনি৷''
তাই ব্রাউনের শ্রমিক দলের ভরাডুবি ঘটলে, ডেভিড ক্যামেরনের রক্ষণশীল দল বিরোধী দলীয় অবস্থান ঘুচিয়ে সরকারি দলে পরিণত হতে পারে অচিরেই৷ তবে নির্বাচনে, গত প্রায় ১৩ বছর ধরে পার্লামেন্টে বিরোধী দল হিসেবে থাকা রক্ষণশীলরা সামান্য ব্যবধানে জিততে পারে অথবা সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে কিছু সংখ্যক আসন কম পেতে পারে বলেও দেখা যাচ্ছে বেশ কয়েকটি নির্বাচন-পূর্ববর্তী জরিপে৷ সে যাই হোক, বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশকে অর্থনৈতিক মন্দার হাত থেকে রক্ষা করতে ইউরোপের গণ্ডি থেকে দু-হাত দূরত্বে থাকতে চান রক্ষণশীল দলের নেতা ডেভিড ক্যামেরন৷ তাঁর কথায়, ‘‘একটা কথা পরিস্কার যে, আমি কখনই ইউরো-ভুক্ত দেশগুলিতে যোগদান করবো না৷ পাউন্ডকেই আমি ব্রিটেনের মুদ্রা হিসেবে রাখবো৷ আমি আমার এ সিদ্ধান্তে অবিচল৷ বিশেষ করে গ্রিস সংকটের পর৷''
ওদিকে, শ্রমিক বা লেবার দল এবং রক্ষণশীলদের লড়াই-এর মধ্যে নিজেদের ভোটার সংখ্যা কিছুটা হলেও বাড়াতে সক্ষম হয়েছে লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা৷ তাই বিশেষজ্ঞদের ধারণা, শ্রমিক দল বা রক্ষণশীলরা কতোটা ভোট পাবে - তার অনেকটাই নির্ভর করছে লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা কেমন ফল করে, তার ওপর৷ লিবারেল ডেমোক্র্যাট দলের নেতা নিক ক্লেগ জানান, ‘‘আমার মনে হয়, আমাদের অন্য কিছু করতে হবে৷ নতুন কিছু করতে হবে৷ সবার জন্য কাজ, সমান সুযোগের ব্যবস্থা করতে হবে৷''
অবশ্য এবারের নির্বাচনের পর ত্রিশঙ্কু পার্লামেন্টের আশংকাও করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ আর সেটা হলে, জোট সরকার গঠন করাই যে একমাত্র বিকল্প হয়ে দেখা দেবে - তা বলাই বাহুল্য৷ তাই আগের তিনটি নির্বাচনে জয়ী হয়ে ব্রিটেনে শ্রমিক দল সরকার গঠন করলেও, জোটের সম্ভাবনা একেবারে নাকচ করতে পারছেন না কেউই৷
প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক