1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পার্টি তহবিলে চাঁদার বদলে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মোলাকাৎ

১ মার্চ ২০১০

এ-ধরণের ঘটনা যে জার্মানিতেও ঘটে থাকে, তার প্রমাণ দু’টি রাজ্যের খৃষ্টীয় গণতন্ত্রী দলের একটি সাম্প্রতিক কেলেঙ্কারি৷ দলনেত্রী চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলও এবার চাঁদা আদায়ের এই পদ্ধতির সমালোচনা করেছেন৷

https://p.dw.com/p/MEd1
মুখ্যমন্ত্রী টিলিচের সঙ্গে আলাপ করার মূল্য ৮,০০০ ইউরোছবি: Aureliusz Marek Pedziwol

ঘটনাটা এই৷ প্রথমে উত্তর রাইন পশ্চিম ফালিয়া রাজ্য থেকে খবর বেরোয় যে, সেখানে সিডিইউ দলের সাধারণ সম্পাদক হেন্ড্রিক ভ্যুস্ট নাকি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা নিয়ে সিডিইউ মুখ্যমন্ত্রী ইয়ুর্গেন রুটগের্স-এর সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেওয়ার প্রথা চালু করেছেন৷ খবরটা বেরনোর পরে ভ্যুস্ট'কে পদত্যাগ করতে হয়৷ তার কারণ সম্ভবত এই যে, জার্মানির সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ এবং একদা জার্মানির ভারীশিল্পের কেন্দ্রবিন্দু এই রাজ্যটিতে আগামী ৯-ই মে রাজ্য নির্বাচন৷ এবং সে নির্বাচনে হারলে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের খৃষ্টীয় গণতন্ত্রীরা জার্মান সংসদের উচ্চকক্ষে সংখ্যালঘু হয়ে পড়বে৷

স্যাক্সনিতেও চাঁদার বদলে আলাপচারি

উত্তর রাইন পশ্চিম ফালিয়ার কেলেঙ্কারির জের কাটতে না কাটতে পূর্বাঞ্চলের স্যাক্সনি রাজ্য সম্পর্কে শোনা যায়, সেখানেও নাকি চাঁদা আদায়ের একটি অনুরূপ প্রথা চালু আছে৷ সপ্তাহান্তেই স্যাক্সনির সিডিইউ দলের সাধারণ সম্পাদক মিশায়েল ক্রেটশমার সে-কথা স্বীকার করেন৷ এই সোমবারেই ‘‘ডেঙ্কফাব্রিক সাক্সেন'' বা ‘থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক স্যাক্সনি' বলে যে প্রদর্শনীটি শুরু হচ্ছে, সেখানে স্পন্সররা ৮,০০০ ইউরো পর্যন্ত চাঁদা দিয়ে স্ট্যান্ড খুলতে পারেন, এবং সেই সঙ্গে অনুদানের পরিমাণ অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী স্টানিসলাভ টিলিচ-এর সঙ্গে ছবি তোলাতে পারেন, এমনকি স্পন্সর হিসেবে টিলিচের উদ্বোধনী ভাষণে উল্লিখিত হতে পারেন৷ এবং নিজেদের স্ট্যান্ডে টিলিচের পদধূলি প্রদানের সময় তাঁর সঙ্গে আলাপের সুযোগ তো আছেই৷ - অবশ্য দুই মুখ্যমন্ত্রীই নাকি এ'সব ব্যাপারে কিছু জানেন অথবা জানতেন না৷

চ্যান্সেলরের বিরক্তি

তবুও চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল তাঁর দলের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে এই চাঁদাবাজি ভালো চোখে দেখছেন না৷ তাঁর মতে একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়া এক ব্যাপার, এবং সেই রাজ্যে সিডিইউ দলের প্রধান হওয়া আরেক ব্যাপার: ‘‘এই দু'টি পদকে মিশিয়ে ফেলা উচিৎ নয়৷ স্বভাবতই সর্বত্রই স্পন্সরিং আছে, এবং তা বৈধও বটে৷ কিন্তু তা বলে মুখ্যমন্ত্রীর পদটিকে স্পন্সরিং-এর সঙ্গে মিশিয়ে ফেলা সম্ভব নয়, কেননা তার ফলে লোকের ধারণা হবে যে, মুখ্যমন্ত্রীর পদ দিয়ে স্পন্সর খোঁজা হচ্ছে৷'' - অপরদিকে বিরোধীরা সিডিইউ-এর এই নতুন বিড়ম্বনায় পালে বাতাস পেয়েছে৷ সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি দলের মহাসচিব আন্দ্রেয়া নালেস বলেছেন, সিডিইউ নেতৃবর্গ দৃশ্যত ‘‘বিক্রীর জন্য''৷ অপরদিকে দি লিংকে বা বামদল জার্মানিতে রাজনৈতিক দলগুলির অর্থসংস্থানের পদ্ধতির সংস্কার দাবী করেছে৷

প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: জাহিদুল হক