1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তানে বাড়ছে বন্যা, তবুও খালি ত্রাণ শিবির

২৯ আগস্ট ২০১০

পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের একটি শহরকে বন্যা থেকে বাঁচাতে ব্যাপক চেষ্টা চলছে৷ তবে, পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপের দিকে৷ বন্যা দুর্গত এলাকায় বাড়ছে রোগবালাই, পুষ্টিহীনতা৷

https://p.dw.com/p/OytB
বন্যাদুর্গতদের আরো সহায়তা প্রয়োজনছবি: AP

থাট্টা বাঁচানোর চেষ্টা

পাকিস্তানের বন্যা কবলিত সিন্ধু প্রদেশের একটি শহরকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছে সেনা সদস্যরা৷ ঐতিহ্যবাহী নগরী থাট্টার প্রায় সব অধিবাসীকে ইতিমধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে৷ এখন চেষ্টা করা হচ্ছে শহর রক্ষা বাঁধ মেরামত করে বন্যার পানি ঠেকানোর৷ থাট্টার প্রশাসনিক কর্মকর্তা হাদি বাকস জানিয়েছেন, বন্যার পানি শহর থেকে এখনও দুই কিলোমিটার দূরে আছে৷ সেখানে সেনা সদস্যরা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শহর রক্ষা বাঁধ মেরামত করছে৷ মৌসুমি বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট এই বন্যায় ইতিমধ্যে সিন্ধু প্রদেশের দক্ষিণের ১৯টি শহর প্লাবিত হয়েছে৷

বন্যাদুর্গত ১ কোটি সত্তর লাখ

পাকিস্তানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা এই মুহূর্তে এক কোটি সত্তর লাখ৷ এদের মধ্যে কমপক্ষে ৬০ লাখ মানুষ গৃহহীন আর আশি লাখ মানুষের জরুরি খাদ্য, চিকিৎসা ও পানীয় জল প্রয়োজন৷ ফলে পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ৷ তবে, সিন্ধু প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জুলফিকার মির্জা জানিয়েছেন আরেক খবর৷ তাঁর কথায়, বন্যাদুর্গত অনেকে ত্রাণ শিবিরে যেতে আগ্রহী নয়৷ কেননা, তারা মনে করছে শিবিরগুলোতে পর্যাপ্ত সুযোগসুবিধা নেই৷ তাই, করাচিতে ৪০ হাজার বন্যাদুর্গতের জন্য শিবির করা হলেও কেউ সেখানে যায়নি৷

এদিকে, বন্যাদুর্গতদের মাঝে পুষ্টিহীনতা এবং পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সাহায্য সংস্থাগুলো৷ রোগবালাইয়ের কারণে অনেক বন্যাদুর্গত শিশু মারা যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে৷

পুর্নগঠনে আরো সহায়তা প্রয়োজন

এখন পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ পাকিস্তানকে সত্তর কোটি মার্কিন ডলারের সহায়তা দিয়েছে৷ এই অর্থ বন্যা দুর্গতদের জরুরি সাহায্যের জন্য ব্যয় করা হবে৷ রবিবার অক্সফাম অবশ্য জানিয়েছে, বন্যার দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব থেকে রেহাই পেতে হলে দ্রুতই পুনর্গঠন কার্যক্রম শুরু করতে হবে৷ এজন্য প্রয়োজন হবে কয়েক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহায়তা৷ এদিকে, সংযুক্ত আরব আমিরাত বন্যা দুর্গতদের সহায়তায় আরো ২ কোটি মার্কিন ডলার সংগ্রহ করেছে৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য