পাকিস্তানে জঙ্গি হামলা, মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে
২৪ ডিসেম্বর ২০১০মোহমান্দ অঞ্চলের বাইজাই এলাকায় এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সর্বশেষ খবর হল গুরুতর আহত হয়েছে বেশ কিছু সেনা৷ জঙ্গিরা পাঁচটি নিরাপত্তা চেকপয়েন্টে হামলা চালায়৷ তখনই দুই পক্ষে সংঘর্ষ চলে৷ এদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশংকাজনক৷ সেনারা পাল্টা আক্রমণ চালালে জঙ্গিরা পালিয়ে যায়৷ পেছনে ফেলে যায় শুধু মৃতদেহ৷ বলা প্রয়োজন, মোহমান্দ অঞ্চলে এর আগেও তালেবান জঙ্গিরা বেশ কয়েকবার হামলা চালিয়েছিল কিন্তু কখনোই খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনি৷
কর্তৃপক্ষের বক্তব্য
কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বেশ কিছু বক্তব্য৷ মোহমান্দের শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা আমজাদ আলি খান সাংবাদিকদের কাছে বক্তব্য রাখেন৷ জানান কতজন মারা গেছে এবং কতজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক৷ মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে এমন আশঙ্কাও করা হচ্ছে৷ এছাড়া আধা-সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ফজল-উর-রহমান ঘটনার উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন, প্রায় ১৫০ জন জঙ্গি অতর্কিতে হামলা চালায় পাঁচটি নিরাপত্তা চেকপয়েন্টে৷ সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় সংঘর্ষ৷ প্রায় ঘন্টাখানেক ধরে চলে গোলাগুলি পরে জঙ্গি দল পিছু হটতে বাধ্য হয়৷ গতকাল রাত বারোটার পরেই আক্রমণ করা হয়৷ পাল্টা জবাবও দেওয়া হয় সঙ্গে সঙ্গে৷
মোহমান্দে এর আগেও এ ধরণের ঘটনা ঘটেছে৷ প্রশ্ন উঠতে পারে আফগানিস্তান থেকে এত সহজে কীভাবে এসব জঙ্গিরা আসছে ? মোহমান্দের স্থানীয় মানুষজন সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাজ করছে তালেবান জঙ্গিদের প্রতিহত করতে৷ এসব জঙ্গি সীমান্ত পার হয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করেছে৷ তারা পাহাড় অতিক্রম করে পায়ে হেঁটে আর সমতলভূমিগুলো পার হয় ট্রেনে৷ এরা সবসময়ই লুকিয়ে থাকে বলে এদের কেউ সহজে দেখেও না চিনতেও পরে না৷ গোপন আস্তানা থেকেই এরা হামলার পরিকল্পনা করে৷ এদের হামলার মূল লক্ষ্য হল নিরপরাধ বেসামরিক মানুষ আর আফগানিস্তানে অবস্থানরত বিদেশি সেনা৷
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গেছে আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই এবং পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি সীমান্ত এলাকার উত্তেজনা প্রশমিত করতে আলোচনায় বসেছেন৷ এই আলোচনায় মধ্যস্থতা করছে তুরস্ক৷
প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল-ফারূক