1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তানের সংগীত জগতের হাওয়া

২০ এপ্রিল ২০১০

পাকিস্তানের নাম শুনলেই শুধু চোখের সামনে ভেসে ওঠে জঙ্গিদের হামলা আর নিরাপত্তা বাহিনীর পাল্টা হামলায় কিছু মানুষের নিহত, আহত কিংবা পঙ্গুত্বের চিত্র৷ কিন্তু আর কিছুই কি নেই সাহিত্য-সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে?

https://p.dw.com/p/N1EI
ফাইল ছবিছবি: CokeStudio

একটু গভীরভাবে কান পাতলেই এখনও শোনা যায় উর্দু রকের মিষ্টি সুর৷ ভেসে আসে আলি আজমতের কণ্ঠে সেই চেনা লহরি৷

প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানি অভিনয় আর সংগীত জগতের যে ক্ষতিসাধন করা হয়েছে তা মূলতই দেশটির প্রত্যন্ত কিংবা দুর্গম তালেবান অধ্যুষিত অঞ্চলে৷ যেমন উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের গ্রামগুলোতে৷ সেসব স্থানে হুমকি এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছে বেশ কিছু গীতিকার-সুরকার এবং অভিনয় শিল্পীরাও৷ এমনকি গানের সিডি, ডিভিডি নিষিদ্ধ করে সেসব জায়গায় বিক্রি করতে বাধ্য করা হয়েছে পশ্চিমা বিরোধী নানা জঙ্গি ভিডিও৷ তবে এই চিত্র কিন্তু সারা দেশ জুড়ে নয়৷ রাজধানী ইসলামাবাদ, করাচি, লাহোরসহ প্রধান প্রধান শহরগুলোতে এখনও ভেসে আসে জুনায়েদ জামশেদের গজল৷

এমনকি চালু রয়েছে গিটার ও গানের স্কুল৷ পপ কিংবা রক ব্যান্ড – কোনটিই পিছিয়ে নেই৷ উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, পাকিস্তানের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত লাহোরে হামজা জাফরি গত বছর প্রতিষ্ঠা করেছেন গিটার স্কুল৷ সেখানে সাত থেকে কুড়ি বছর বয়সি কয়েক ডজন ছেলে-মেয়ে আসে গিটার শিখতে৷ স্কুলটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা আবিদ খান জানালেন, গিটার স্কুলের ছেলে-মেয়েরা গড়ে তুলেছে একটি ব্যান্ড৷ এমনকি তাদের অনেকেই পেশাদার রক তারকা হওয়ারও স্বপ্ন দেখে৷

অবশ্য সন্ত্রাসী হামলার ভয় এবং দেশটির দুর্বল অর্থনীতি কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলেছে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে৷ এসময়ের বিখ্যাত রক তারকা আলি আজমত যেমনটি বললেন, ‘‘২০০৫ সাল থেকে পাকিস্তানের অভিনয় এবং সংগীত শিল্পে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ ধস নেমেছে৷'' তবুও প্রকাশিত হয়েছে আজমতের নতুন অ্যালবাম ‘কালাশনিফোক'৷ জনপ্রিয়তা পেয়েছে ব্যান্ড দল ‘লাল' এর পরিবেশনা৷ এসব গানে জায়গা করে নিচ্ছে পাকিস্তানের সমসাময়িক ঘটনাবলী আর সন্ত্রাস ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন আর সংগ্রামের মন্ত্র৷

প্রতিবেদক: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন