পাকিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা
এক বছর আগে শিশুদের রক্তে ভেসেছিল পেশাওয়ারের একটি স্কুল৷ স্কুলের শিক্ষার্থীসহ দেড়শ’রও বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল তালেবান৷ এবার পেশাওয়ারের কাছেরই এক বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা চালিয়েছে তালেবান৷ পাকিস্তানে রক্তবন্যা চলছেই৷
ভয়াবহ সেই দিন
গত ডিসেম্বরেই পেশাওয়ারের আর্মি পাবলিক স্কুলে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার বর্ষপূর্তি হলো৷ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ শোকাবহ সেই দিনকে স্মরণ করতে গিয়ে শুধু নিহত ১৫০ জনেরও বেশি মানুষের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাই জানাননি, পাকিস্তানকে জঙ্গিবাদমুক্ত করার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেছিলেন৷ওপরের ছবিতে ২০১৪ সালে পেশাওয়ারের স্কুলে তালেবান হামলায় আহত এক শিক্ষার্থী৷
আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান!
২০১৪ সালে স্কুলের শিশুদের ওপর চালানো সেই হামলার বর্ষপূর্তির এক মাস পেরোতেই পেশাওয়ারের কাছের বাচা খান বিশ্ববিদ্যালয়কে বেছে নিল জঙ্গিরা৷ পেশোয়ার থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরের চারসাড্ডা এলাকার এই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হামলার সময় হাজার খানেক শিক্ষার্থী ছিল৷ হামলার পর দ্রুতই সেখানে সেনাসদস্যরা চলে আসে৷
‘হামলাকারীদের কোনো ধর্ম নেই, ধর্ম বিশ্বাস নেই’
বাচা খান বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গি হামলার খবরে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে হামলাকারীদের ধর্মবিশ্বাস নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ৷ একজন ধর্মবিশ্বাসী কখনো অকারণে হত্যা বা নিরীহ মানুষ হত্যা করতে পারে না – এমন যুক্তিতে তিনি বলেন, ‘‘এই হামলাকারীদের কোনো ধর্ম বা ধর্মবিশ্বাস নেই৷’’ শরিফ জানান, তাঁর সরকার পাকিস্তানকে সন্ত্রাসমুক্ত করার সংগ্রাম আরো দৃঢ়ভাবে চালাবে৷
আরো ব্যাপক হতে পারত ক্ষয়ক্ষতি
হামলায় এ পর্যন্ত ২১ জন নিহত এবং ৭০ জানের মতো আহত হয়েছে বলে জানা গেছে৷ তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পাকিস্তান সেনাবাহিনী দ্রুত অভিযান শুরু না করলে রক্তক্ষয় ও প্রাণহানি আরো ব্যাপক হতে পারতো৷ ওপরের ছবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আটকে পড়াদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য৷
কেন এই হামলা?
ইতিমধ্যে হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে তালেবান৷ জঙ্গি সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, পাকিস্তান সেনাবাহিনী যে তাদের সঙ্গীদের হত্যা করেছে তার প্রতিশোধ হিসেবেই চালানো হয়েছে এই হামলা৷ওপরের ছবিতে দুই তালেবান জঙ্গি৷