1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তানের গভীর সংকট ও জার্মানিতে ভারতের বিনিয়োগ

১৯ সেপ্টেম্বর ২০১০

রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা এবং জার্মানিতে ভারত ও চীনের মতো দেশের বেড়ে চলা বিনিয়োগ – জার্মান পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত দক্ষিণ এশিয়া সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দু’টি নমুনা তুলে ধরা হল৷

https://p.dw.com/p/PFwh
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারিছবি: AP

ফ্রাঙ্কফুর্টার আলগেমাইনে সাইটুং পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে৷ ‘বিপজ্জনক পতন' শিরোনামে লেখা প্রতিবেদনে পাকিস্তানের কৌশলগত অবস্থান, পরমাণু অস্ত্র, ইসলামি উগ্রবাদের মত গুরুতর সমস্যার উল্লেখ করে মন্তব্য করা হয়েছে, যে এই বিস্ফোরক পরিস্থিতি গোটা বিশ্বকে বিপদের মুখে ঠেলে দিতে পারে৷ অথচ সেই তুলনায় আন্তর্জাতিক সমাজ পাকিস্তানের প্রতি যথেষ্ট নজর দিচ্ছে না৷ তার বদলে আফগানিস্তান থেকে সসম্মানে প্রস্থান বা ইরানের পরমাণু কর্মসূচি যাবতীয় কূটনৈতিক গুরুত্ব আদায় করে নিচ্ছে৷ জেনারেল মোশাররফের প্রস্থানের প্রায় দুই বছর পর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সামান্যতম আশাও কেউ আর রাখছে না৷ যে নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে একযোগে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালানো হচ্ছে, সেই ক্ষমতাসীন জোটের অন্যতম এক রাজনৈতিক দলকেই সন্ত্রাসবাদীরা প্রধান আশ্রয় হিসেবে বিবেচনা করে৷ যে সামরিক বাহিনীকে আন্তর্জাতিক স্তরে পাকিস্তানের ধর্মনিরেপক্ষতার রক্ষক হিসেবে গণ্য করা হয়, তার মধ্যেই কট্টর ইসলামপন্থীদের প্রতি সহানুভূতি বেড়ে চলেছে৷ মারাত্মক বন্যা সত্ত্বেও বেশ কয়েকটি আত্মঘাতী হামলায় শতাধিক নিহত হয়েছে৷ অর্থনীতি সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত৷ চারিদিকে ক্ষমতায় রদবদলের গুজব শোনা যাচ্ছে৷ অনেকে আবার চরম নৈরাজ্যের আশঙ্কা করছেন৷ রাষ্ট্র হিসেবে তিলে তিলে ভেঙে পড়ছে পাকিস্তানের কাঠামো৷ শুধু দুর্নীতিগ্রস্ত এলিট শ্রেণী বা উগ্রবাদীরাই এর জন্য দায়ী নয় – অ্যামেরিকা, চীন, সৌদি আরবের মতো বিদেশি শক্তির ক্রমাগত হস্তক্ষেপও এই প্রক্রিয়ায় ইন্ধন জুগিয়ে এসেছে৷ কিন্তু পাকিস্তানের পতন কোনো শক্তিরই স্বার্থ হতে পারে না – মন্তব্য করেছে ফ্রাঙ্কফুর্টার আলগেমাইনে সাইটুং৷

BdT Flugschow in Bangalore Indien
ভারতের বাণিজ্য সংস্থাগুলি জার্মানিতে বিনিয়োগ করছেছবি: AP

একটা সময় ছিল, যখন ভারত ও চীনের মতো দেশ জার্মানির মত শিল্পোন্নত দেশের কাছে বিনিয়োগের আর্জি জানাতো৷ আজ সেই চিত্র বদলে গিয়েছে৷ চীন ও ভারতের শিল্প-বাণিজ্য সংস্থাগুলি জার্মানিতে বিপুল মাত্রায় বিনিয়োগ করছে৷ এবিষয়ে এক প্রতিবেদনে দৈনিক ‘ডেয়ার টাগেসস্পিগেল' বেশ কয়েকটি উদাহরণ তুলে ধরেছে৷ প্রথম দিকে জার্মানিতে উন্নয়নশীল দেশগুলির মালিকদের নিয়ে যে সংশয় ছিল, আজ তা অনেকটাই কেটে গেছে বলে মন্তব্য করেছে ঐ সংবাদপত্র৷ এ প্রসঙ্গে জার্মানিতে ভারতের ওষুধ কোম্পানি ‘ড.রেড্ডি'র কার্যকলাপের বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে৷ এই সব সংস্থা বিশ্বায়ন প্রক্রিয়ায় নিজেদের পাকা জায়গা করে নিয়েছে এবং অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও বিশাল মুনাফা করেছে৷ সেই টাকা নিয়েই তারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের সংস্থা কিনে নিচ্ছে৷ উন্নত প্রযুক্তির ক্ষেত্রে জার্মানির সুনাম তাদের আকর্ষণ করছে৷ তাছাড়া ইউরোপের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত জার্মানিকে ভিত্তি করে তারা নতুন বাজারে প্রবেশ করতে চাইছে৷

সংকলন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই