পাকিস্তানি সেনাদের বিচার
২৭ জানুয়ারি ২০১৪
১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর, ১৯৭৪ সালে ত্রিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে ১৯৫ জন পাকিস্তানি সেনা সদস্যকে দেশটি ফেরত নিয়েছিল৷ যা শিমলা চুক্তি নামে পরিচিত৷ এই ১৯৫ জন পাকিস্তানি সেনা সদস্যকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়৷ পাকিস্তান তাদের নিজের দেশে বিচারের মুখোমুখি করার প্রতিশ্রুতি দিলেও, এখনও পর্যন্ত তাদের বিচার করেনি৷
আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক রবিবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘‘আমি জানতে পেরেছি ঐ ১৯৫ জন, যাদের ১৯৭৩ সালে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল তাদের বিচারের একটি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে৷'' তিনি বলেন, ‘‘আমাদের এখন কর্তব্য এটা দেখা যে, শিমলা চুক্তির মাধ্যমে যাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছিল তাদের বিচারে সে চুক্তির কোনো ব্যাঘাত ঘটবে কিনা৷ আনটিল অ্যান্ড আনলেস আই গেট দিস ক্লারিফিকেশন, আমি এটার ওপর আর কিছু বলতে চাই না৷''
তিনি বলেন, ‘‘এই চুক্তি সংসদে পাশ আর না পাশের কিছু নেই৷ এই চুক্তি কার্যকর হয়ে গেছে৷ তাদেরও ছেড়ে দেয়া হয়েছে৷ এখন দেখতে হবে, চুক্তি কার্যকরের পরেও এটা আমরা করতে পারি কিনা৷'' তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনাল স্বাধীন৷ আর অভিযুক্তদের অনুপস্থিতিতে বিচার করার একটা পদ্ধতি আছেই৷ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইন এবং তার সকল সংশোধনীতেই সেই সুযোগ আছে৷
ট্রাইবুন্যালের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রানা দাসগুপ্ত ডয়চে ভেলেকে বলেন, পাকিস্তানের হামিদুর রহমান কমিশনও ১৯৫ জনকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করে৷ শিমলা চুক্তি অনুযায়ী, পাকিস্তান নিজেই তাদের বিচারের কথা বলেছিল৷ কিন্তু এখানো তার বিচার করেনি৷ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এখন তাদের সহযোগিদের প্রশ্নটি খুঁটিয়ে দেখছে৷ আইনে যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য পাকিস্তানের ১৯৫ জন সেনা সদস্যেরও বিচার করতে পারে ট্রাইব্যুনাল৷ তবে এ জন্য সরকারের সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷ কারণ এর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কসহ আরো অনেক বিষয় জড়িত৷ তিনি দাবি করেন, ১৯৫ জনের সকলেরই বিচার যেন করা হয়৷