1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পল্লির মানুষের সেবা

২২ জুন ২০১৫

পরনে গোলাপি-নীল রঙের সালোয়ার-কামিজ, মাথায় টুপি৷ বাহন সাইকেল৷ সঙ্গী ল্যাপটপ সহ আরও কিছু উপকরণ৷ এই হচ্ছেন তথ্যকল্যাণী৷ কাজ পল্লির মানুষের সেবা করা৷

https://p.dw.com/p/1FiUi
Infolady Projekt gewinnt Global Media Forum Auszeichnung
ছবি: D.net/Amirul Rajiv

বর্তমানে বাংলাদেশের পাঁচটি জেলায় এরকম প্রায় ৫০ জন তথ্যকল্যাণী কাজ করছেন৷ শিগগিরই যোগ দিচ্ছেন আরও ১২ জন৷ তথ্যকল্যাণী প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী সংস্থা ডিনেট এর লক্ষ্য ২০২০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের প্রতিটি ইউনিয়নে অন্তত দুজন করে তথ্যকল্যাণী নিয়োগ করা৷

যেভাবে কাজ করেন তথ্যকল্যাণীরা

একটি ল্যাপটপ, ডিজিটাল ক্যামেরা এবং ইন্টারনেট সংযোগযুক্ত মোবাইল ফোন নিয়ে তাঁরা নিজেদের এলাকায় কাজ করেন৷ মূলত তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর বিভিন্ন সেবা যেমন এলাকার কারো সঙ্গে স্কাইপ-এর মাধ্যমে বিদেশে বা অন্য শহরে বসবাসরত কারো যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া কিংবা কৃষককে তথ্য দিয়ে সহায়তা বা গ্রামের কোনো শিক্ষিত তরুণকে চাকুরির আবেদন লিখতে সহায়তা করার মতো কাজগুলো করেন তথ্যকল্যাণীরা৷ পাশাপাশি গ্রামের অন্তঃসত্ত্বা নারীকে বিভিন্ন সাধারণ চিকিৎসা সহায়তাও দিয়ে থাকেন তাঁরা৷ গ্রামবাসীকে প্রয়োজনে আইনি সহায়তাও প্রদান করা হয়৷

তথ্যকল্যাণীরা সাধারণত যেসব প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাজ করেন, সেসব অঞ্চলে চিকিৎসকরা তেমন একটা যান না বললেই চলে৷ ফলে এসব অঞ্চলের মানুষ আগে ছোটখাট শারীরিক সমস্যার চিকিৎসা নিতে গিয়েও বিপাকে পড়তেন৷ তথ্যকল্যাণীরা এখন তাদের সহায়তা করছেন৷ আর তাঁদের পেছনে কল সেন্টারে রয়েছেন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের দল৷ ফলে যে কোনো সময় কল সেন্টারে যোগাযোগ করে পরামর্শ নিতে পারেন তথ্যকল্যাণীরা৷ এসব সেবা তাঁরা দিয়ে থাকেন বিনা খরচায়৷

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ইউরোপ বা পশ্চিমা বিশ্বের তুলনায় অত্যন্ত কম৷ মোটের উপর প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষদের তথ্য সহায়তা প্রদানে সরকারি কিছু উদ্যোগ থাকলেও সেগুলো খুব একটা সাড়া ফেলতে পারছে না৷ তবে তথ্যকল্যাণীরা এক্ষেত্রে বেশ সফল৷

২০১৩ সালে ডয়চে ভেলের সেরা অনলাইন অ্যাক্টিভিজম অ্যাওয়ার্ড ‘দ্য বব্স'-এর একটি বিভাগে জুরি অ্যাওয়ার্ড জয় করেন তথ্যকল্যাণীরা৷

জেডএইচ/ডিজি (ইন্টারনেট)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য