1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পরিবেশ সংরক্ষণে ভূমিকা নিচ্ছে সামাজিক নেটওয়ার্ক

২০ জুন ২০১০

বাংলাদেশ বাঁচলেই বিশ্ব বাঁচবে- একটি ব্লগের শিরোনাম এটি৷ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ কি ক্ষতির মুখে পড়ছে কিংবা কিভাবে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা সম্ভব, তাই নিয়েই আলোচনা হয় এই ব্লগ সাইটে৷

https://p.dw.com/p/NxlD
ছবি: picture alliance/dpa

গলভাও বাঁচাতে টুইটার

এবার নজর দেব ব্রাজিলের দিকে৷ সেদেশে ‘গলভাও' নামের একটি বিরল পাখি এখন হুমকির মুখে৷ প্রতি বছর কার্ণিভাল উত্সবের সময় প্রায় তিন লাখ ‘গলভাও' পাখি মেরে ফেলা হয়, শুধুমাত্র সেগুলোর চিত্রবিচিত্র পালকের জন্য৷ এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের ফলেও মারা যাচ্ছে আরো অনেক ‘গলভাও' পাখি৷ কিন্তু এখন আশা দেখা যাচ্ছে এই পরিস্থিতির পরিবর্তনের৷ ব্রাজিলের এক বিজ্ঞানী একটা প্রকল্প হাতে নিয়েছেন ‘গলভাও' পাখির বিলুপ্তি রোধ করার লক্ষ্য নিয়ে৷ প্রকল্পটি হল টুইটার প্রচারাভিযান৷

ইপিএ

এভাবে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে জনসচেতনতায় এগিয়ে আসছে সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটগুলো৷ আয়ারল্যান্ডের পরিবেশ সংরক্ষণ সংস্থা ইপিএ-র কথাই ধরুন৷ পরিবেশ সংরক্ষণে তারা তাদের প্রচারাভিযানে যোগ করেছে টুইটার৷ এখন থেকে এই সংস্থা তাদের বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করবে টুইটারের মাধ্যমে৷

#ক্লাইমেট

বর্তমানে টুইটার হয়ে উঠেছে পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করার এক অনন্য মাধ্যম৷ আর প্রতিমুহূর্তেই এই মাধ্যমের ব্যবহার বাড়ছে৷ হ্যাশক্লাইমেট লিখে টুইটারের সার্চ বাটনে ক্লিক করলে মিলবে অন্তত কয়েক হাজার সর্বশেষ লিংক, যেখানে শুধুই জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে প্রয়োজনীয় আলোচনা হয়৷

ফেসবুক

এক্ষেত্রে ফেসবুকের অবস্থান অবশ্য আরো এগিয়ে৷ ফেসবুকে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক পাতা এবং গ্রুপের সংখ্যা কয়েক হাজার৷ জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সংস্থা ইউএনইপি-র কথাই বলা যাক৷ জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিভিন্ন সম্মেলন সম্পর্কে এই সংস্থা তাদের যাবতীয় তথ্যই জানায় ফেসবুকের মাধ্যমে৷ শুধু তাই নয়, গাছ লাগানো থেকে শুরু করে জলবায়ু বিষয়ক ব্লগিং -- সবক্ষেত্রেই ইউএনইপি ব্যবহার করছে ফেসবুক নেটওয়ার্ক৷ এতে সাড়াও মিলছে প্রচুর৷ বাংলাদেশের এক বন কর্মকর্তা ইউএনইপি-র নেটওয়ার্কে লিখেছেন, চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকার বনাঞ্চল রক্ষা করা যাচ্ছে না৷ কেননা, পাহাড়ের বাসিন্দারা বিভিন্ন কারণে প্রাকৃতিক বন ধ্বংস করছে৷ ফলে পাহাড়ি এলাকার জীব-বৈচিত্র এখন হুমকির মুখে৷ একবার ভাবুন, বাংলাদেশের কোন এক অংশে বসে এক বন কর্মকর্তা তাঁর বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন ইউএনইপিকে৷ শুধুমাত্র কয়েকটি ক্লিকের মাধ্যমে৷ কিছুদিন আগেও কি এমনটা সম্ভব ছিল?

জাহিদুরের কথা

এখানেই শেষ নয়, বন কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান ফেসবুকে শেয়ার করছেন পাহাড়ি অরণ্যের ছবি৷ কিভাবে তাঁর সহকর্মীরা গাছের উপর ঘর বানিয়ে সেখানে বসে বসে পাহারা দিয়ে চলেছেন অরণ্যকে, তারই সচিত্র বিবরণ৷ সঙ্গে মন্তব্য, ‘বাংলাদেশে বনাঞ্চল রক্ষা খুবই কঠিন কাজ৷'

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়