1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পরিবারের ‘সম্মান রক্ষায়’ খুনের ঘটনা রোধে বিশেষ মন্ত্রিগোষ্ঠী

৮ জুলাই ২০১০

পারিবারিক সম্মান রক্ষার নামে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে অসবর্ণ বা সমগোত্রে বিয়ের দরুণ যে ভাবে খুনের ঘটনা বাড়ছে, তার প্রেক্ষিতে এই ইস্যু নিয়ে বৃহস্পতিবার আলোচনা হয় কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট কমিটিতে৷

https://p.dw.com/p/OE8e
পারিবারিক সম্মান রক্ষার নামে খুনের ঘটনা বাড়ছে ভারতেছবি: AP

কিন্তু ঐকমত্য না হওয়ায় বিষয়টি বিশদভাবে খতিয়ে দেখতে গঠিত হয় এক মন্ত্রিগোষ্ঠী৷

অসবর্ণ বা সমগোত্রীয় বিয়ের ক্ষেত্রে পরিবারের তথাকথিত সম্মান রক্ষার নামে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে যেভাবে হত্যাকাণ্ড চলেছে, তা প্রতিরোধে ভারতীয় দণ্ডবিধি সংশোধন করে কিভাবে তা আরো কঠোর করা যায়, তা নিয়ে আজ আলোচনা হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায়৷ সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং৷ এই ধরণের হত্যাকে খুনের আওতায় এনে এই হত্যার জন্য যাঁরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দায়ী তাঁদের কঠোর সাজা দেবার সংস্থান রেখে একটি বিল নিয়ে বিশদ মতবিনিময় হয় মন্ত্রিসভায়৷ কিন্তু মন্ত্রিসভার সদস্যরা এবিষয়ে একমত হতে না পারায়, বিষয়টি আরো গভীরভাবে খতিয়ে দেখতে এক বিশেষ মন্ত্রিগোষ্ঠী গঠিত হয়৷ মূলতঃ আপত্তি তোলেন হরিয়ানার কংগ্রেস সাংসদরা৷ বৈঠক শেষে, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রি অম্বিকা সোনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, মন্ত্রিগোষ্ঠী ভারতীয় দণ্ডবিধির প্রস্তাবিত সংশোধনের বিষয়ে মতামত চেয়ে একটি নোট পাঠাবেন রাজ্য সরকারগুলির কাছে৷ তারপর বিলটি চূড়ান্ত করে এমাসে তা পেশ করা হবে সংসদের বাদল অধিবেশনে৷

উল্লেখ্য, তথাকথিত সম্মান রক্ষায় খুনের ঘটনা বাড়ায় গত মাসে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকার ও আটটি রাজ্য সরকারকে এর প্রতিকারে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা জানাতে বলেন৷ এই জঘন্য হত্যার জন্য মূলতঃ দায়ী খাপ পঞ্চায়েত বা জাত কাউন্সিলের বিধান৷ বছরে এক হাজারের মত খুন হয় এই কারণে৷ তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই সব খুনের ঘটনা সামনে আসেনা৷

এই প্রসঙ্গে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞানের অধ্যাপক স্বরাজ বসু ডয়চে ভেলেকে বললেন, এই প্রথাকে শিক্ষিত সমাজ কখনই মেনে নিতে পারেনা৷ কিন্তু এর ভেতরেও আছে ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি৷ কোন রাজনৈতিক দল এমন কী উদারপন্থী বলে পরিচিত কংগ্রেস পার্টিও জোরগলায় এর নিন্দা করছেনা৷ এটা আমাদের সামাজিক অবক্ষয়ের প্রতীক৷ এটা বদলাতে হলে দলমত নির্বিশেষে সব রাজনৈতিক দলগুলিকে এক জোট হতে হবে, সংসদে এর বিরুদ্ধে আইন প্রণয়ন করতে হবে৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ