1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পরমাণু দায়বদ্ধতা বিল নিয়ে ভারতীয় সংসদ উত্তাল

২৫ আগস্ট ২০১০

অসামরিক পরমাণু দায়বদ্ধতা বিল নিয়ে বিরোধী দলের আপত্তি সরকার মোটামুটি মেনে নেবার পর সংশোধিত আকারে বিলটি বুধবার সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় পেশ করা হয়েছে৷ পরে এই বিলের ওপর বক্তব্য রাখেন সরকার ও বিপক্ষ দল৷

https://p.dw.com/p/Ovv6
অসামরিক পরমাণু দায়বদ্ধতা বিল নিয়ে বিরোধী দলকে কি করে মোকাবিলা করবেন কংগ্রেস নেতারা?ছবি: AP

অবশেষে বিতর্কিত অসামরিক পরমাণু দায়বদ্ধতা বিলের ওপর বিতর্ক শুরু হয় আজ সংসদে৷ বিল পেশ করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চৌহান বলেন, বিরোধী দলের উদ্বেগ যেমন সরকার দূর করেছে, তেমনি বিরোধীরাও সরকারের অবস্থান মেনে নিয়েছে৷ বিলে মোট ১৮টি সংশোধন করা হয়েছে৷ ১৭নং ধারায় বিতর্কিত ‘অভিপ্রায়' শব্দটি নিয়ে বিজেপির যে আপত্তি ছিল, সংশোধিত বয়ানে তা বাদ দেয়া হয়েছে৷ পূর্বের বয়ানে ছিল পরমাণু দুর্ঘটনার পেছনে রিয়্যাক্টর ও সাজসরঞ্জাম সরবরাহকারীর ক্ষতি করার অভিপ্রায় থেকে থাকলে, তবেই সে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকবে৷ বিরোধীদের অন্যান্য আপত্তি খণ্ডন করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী৷ বলেন, এই বিল আনার উদ্দেশ্য কোন বিশেষ দেশ বা কোন নেতাকে খুশি করা নয়৷ দেশের উন্নয়ন ও বিদ্যুৎ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এটা হবে এক মাইলফলক৷ অন্যান্য সংশোধনীগুলির মধ্যে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৫০০ কোটি টাকা৷ দেশে পরমাণু কেন্দ্র চালাবে শুধু রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা৷ দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষতিপূরণ পাবেন সঙ্গে সঙ্গে৷ তার জন্য আদালতে যাবার দরকার হবেনা৷ মূল বয়ানে ছিল, সাপ্লায়ারদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য অপারেটরের সঙ্গে থাকতে হবে পৃথক চুক্তি৷ সেটাও বাদ দেয়া হয়৷

বিজেপি নেতা যশবন্ত সিং বলেন, বিল পাশ করানোর পুরো প্রক্রিয়াতে সরকার এত তাড়াহুড়ো কেন করছে, বোধগম্য হচ্ছেনা৷ সংশোধনগুলি আবার পাঠানো হোক সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে৷ তবে বিজেপি যেসব বিষয়ে আপত্তি করেছিল, সরকার তা দূর করায় তাঁর দল খুশি৷ খুশি নয় বামদল৷ তাদের অভিযোগ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপে পরমাণু বাণিজ্য সংস্থাগুলির দায়বদ্ধতা লঘু করা হয়েছে৷ অখুশি আন্তর্জাতিক পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রীনপিস৷

উল্লেখ্য, ভারতে পরমাণু বিদ্যুত উৎপাদনের পরিমাণ ৪৫০০ মেগাওয়াট৷ এই চুক্তির ফলে আগামী কয়েক বছরে তা বেড়ে হবে ৪০ হাজার মেগাওয়াট৷ ভারতে পরমাণু বিদ্যুতের বাজার ১৫ হাজার কোটি মার্কিন ডলার৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন