1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পপ সংগীত জগতের এক অসাধারণ ব্যক্তিত্ব নিল ডায়মন্ড

২৭ জানুয়ারি ২০১১

ষাট থেকে আশির দশকে তাঁর সংগীত বিশ্বব্যাপী সাড়া জাগিয়েছিল৷ সাফল্য ও জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছিলেন নিল ডায়মন্ড৷ পপ সংগীতের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছিলেন তিনি৷ ২৪ জানুয়ারি ছিল তাঁর ৭০তম জন্মবার্ষিকী৷

https://p.dw.com/p/105lr
Neil Diamond
সুরকার, গীতিকার, গিটারবাদক ও গায়ক নিল ডায়মন্ডছবি: AP

সুরকার, গীতিকার, গিটারবাদক ও গায়ক নিল ডায়মন্ড৷ আজো পপ সংগীত জগতে চির সবুজ হয়ে আছে তাঁর বহু গান৷ একাকিত্ব, আশা আকাঙ্ক্ষা, ব্যাকুলতা, স্বপ্ন আর ভালবাসা নিয়ে ব্যালাড আঙ্গিকের গান আজো মুগ্ধ করে অসংখ্য সংগীতানুরাগীদের৷

নিল ডায়মন্ড এর জন্ম ১৯৪১ সালে নিউ ইয়র্ক এর ব্রুকলিনে, রুশ ও পোলিশ বংশোদ্ভূত ইহুদি পরিবারে৷ বাবা ছিলেন ব্যবসায়ী৷ অ্যাব্রাহাম লিংকন হাই স্কুলে পড়াশুনা করেন নিল৷ এখানে তাঁর সহপাঠী ছিলেন একালের বিশ্বখ্যাত সংগীত তারকা বারবারা স্ট্রাইস্যান্ড৷ দুজনই স্কুলের কোরাস গানে অংশ নিয়েছেন নিয়মিত৷ পরবর্তীকালে তাদের দ্বৈত সংগীত ‘ইউ ডোন্ট ব্রিং মি ফ্লাওয়ার' আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করে৷

১৬ বছর বয়সে নিল উপহার পান একটি গিটার৷ আর সেই থেকে শুরু হয় তাঁর সংগীত চর্চা৷

তিনি হতে চেয়েছিলেন ডাক্তার৷ কিন্তু সংগীতের প্রতি তাঁর অনুরাগ ক্রমশ বৃদ্ধি পায়৷

ষাটের দশকের শুরুতে সুরকার ও গীতিকার হিসেবে সংগীত জগতে তাঁর অগ্রযাত্রা৷ এলভিস প্রেসলি, ফ্র্যাঙ্ক সিনাত্রা, হ্যারি বেলাফন্টে, টম জোনস, টিনা টার্নার থেকে শুরু করে বিখ্যাত সংগীত গোষ্ঠী ‘দ্য মঙ্কিস' ও ‘ডিপ পার্পেল' গেয়েছেন তাঁর গান৷ ১৯৬৬ সালে তাঁর হিট গান ‘সলিটারি ম্যান' দিয়ে গায়ক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন নিল ডায়মন্ড৷ তারপর থেকেই একের পর এক হিট গানের অ্যালবাম বেরোয় বাজারে৷

১৯৭২সালে লস অ্যাঞ্জেলেসে গ্রীক থিয়েটারে তাঁর কনসার্ট তাঁকে এনে দেয় বিশ্বখ্যাতি৷ এই কনসার্টের অ্যালবাম ‘হট অগাস্ট নাইট' এর মধ্য দিয়ে তিনি হয়ে ওঠেন পপ সংগীতের প্রতীক৷

এ অবধি বারো কোটি পঞ্চাশ লক্ষেরও বেশী রেকর্ড বিক্রি হয়েছে তাঁর৷ পঞ্চাশটিরও বেশি অ্যালবাম বেরিয়েছে বাজারে৷একাধিক চলচ্চিত্রের সংগীত রচনা করেছেন তিনি৷ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য রিচার্ড বাখ এর উপন্যাস ভিত্বিক ছায়াছবি ‘জনাথন লিভিংস্টন সিগাল'৷ বহু সম্মাননায় ভূষিত নিল ডায়মন্ড ৭০ বছর বয়সে আজো দেশে দেশে কনসার্টে পরিবেশন করছেন বিভিন্ন সাড়া জাগানো ব্যালাড আঙ্গিকের গান৷

প্রতিবেদন: মারুফ আহমদ

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী