1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আত্মীয় হারালেন নৌমন্ত্রীও

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৫ আগস্ট ২০১৪

পদ্মায় ডুবে যাওয়া লঞ্চটি ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করেছিল বলে জানান বাংলাদেশের নৌমন্ত্রী স্বয়ং শাহজাহান খান৷ এদিকে নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজে পদ্মাপাড়ে চলছে স্বজনদের আহাজারি৷ ডুবে যাওয়া লঞ্চটি অবশ্য চিহ্নিত হয়নি৷

https://p.dw.com/p/1Cp1y
Fähre mit mehr als 200 Passagieren in Bangladesch gesunken
ছবি: picture-alliance/dpa

মঙ্গলবার দুপুরে ‘পিনাক-৬'-এর উদ্ধার কাজ দেখতে যান নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান৷ তিনি মাওয়া এলাকায় অবস্থানকালে জানান, ডুবে যাওয়া লঞ্চে তাঁর তিনজন ভাগ্নি ছিলেন৷ তাঁদের মধ্যে একজনের লাশ উদ্ধার করা হলেও, অন্য দু'জন এখনো নিখোঁজ৷ ঐ তিনজন নৌমন্ত্রীর খালাতো বোনের মেয়ে৷ তাঁদের মধ্যে একজন শিকদার মেডিকেলের ছাত্রী, আরেকজন একটি কলেজের ছাত্রী৷ অন্যজন গ্রামে পড়াশোনা করেন৷ তাঁদের নাম স্বর্ণা, হিরা ও লাকি৷ এই কথা সংবাদিকদের বলতে গিয়ে নৌমন্ত্রী কেঁদে ফেলেন৷ জানান, ‘‘লঞ্চডুবির ঘটনায় কোনো কোনো পরিবারের ১০ জন পর্যন্ত লোক নিখোঁজ হয়েছে৷''

Fähre mit mehr als 200 Passagieren in Bangladesch gesunken
স্বজন হারানোয় শোকাহত দুই অবলাছবি: picture-alliance/dpa

শাজাহান খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘লঞ্চটিতে কাওড়াকান্দি ঘাট থেকে দেড়শ' বা ১৬০ জন যাত্রী ওঠে৷ যদি ওই যাত্রী না নিয়ে আসত, তাহলে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটত না৷ কাঁঠালবাড়ি ঘাটে এসে আবার ৮০ থেকে ১০০ জন যাত্রী লঞ্চে ওঠানো হয়৷ এতে সব মিলিয়ে ২৫০ জনের মতো যাত্রী ছিল ওই লঞ্চে৷ এর মধ্যে নিখোঁজ যাত্রীর সংখ্যা ১২৫ জন, উদ্ধার হওয়া যাত্রীর সংখ্যা ১১০ জন৷ অর্থাৎ ডুবে যাওয়া লঞ্চে যাত্রীর সংখ্যা ২০০ থেকে ২৫০ জন হবে৷''

ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান নৌ-পরিবহনমন্ত্রী৷ মুন্সিগঞ্জে লঞ্চডুবির পর একদিন পেরিয়ে গেলেও নৌযানটির অবস্থান শনাক্ত হয়নি৷ তাই লঞ্চ শনাক্ত করতে চট্টগ্রাম থেকে জরিপ-১০ নামের একটি ‘সার্ভে ভেসেল' আনা হচ্ছে৷ এছাড়া উদ্ধারকারী জাহাজ ‘রুস্তম'-এর সঙ্গে মঙ্গলবার সকালে অভিযানে যোগ দিয়েছে আরেকটি উদ্ধারকারী জাহাজ ‘নির্ভীক'৷

নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিআইডাব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ৷ আর নিহতদের দাফনের জন্য তাঁদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসন৷

ঈদফেরত যাত্রীদের নিয়ে মাদারীপুরের কাওড়াকান্দি ঘাট থেকে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ঘাটের কাছাকাছি এসে সোমবার বেলা ১১টার দিকে ডুবে যায় লঞ্চটি৷

এর পর থেকে পদ্মার তীরে স্বজন হারানোদের ভিড় আর আহাজারি৷ তাঁরা লাশের অপেক্ষা করছেন৷ কম-বেশি দেড়শ' যাত্রীর সলিল সমাধির আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ উদ্ধারকারী ডুবুরিরা জানান যে, প্রচণ্ড স্রোত আর গভীরতার কারণে তাঁরা নদীর তলদেশে পৌঁছাতে পারছেন না৷ তাঁদের ধারণা, স্রোতের টানে বহু লাশ ভেসে গেছে৷

Fähre mit mehr als 200 Passagieren in Bangladesch gesunken
লঞ্চডুবির ঘটনা নতুন নয়...ছবি: picture-alliance/dpa
স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য