1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পঞ্চমবারের মতো জার্মান কাপ চ্যাম্পিয়ন শালকে

২২ মে ২০১১

চলতি মৌসুম বেশ হতাশার মধ্য দিয়ে কাটলেও শেষটায় একেবারে জার্মান কাপের শিরোপা ঘরে তুলল শালকে৷ শনিবার সেকেন্ড ডিভিশনের ক্লাব ডুইসবুর্গকে ৫-০ গোলে হারিয়ে পঞ্চমবারের মতো কাপ চ্যাম্পিয়ন হলো রয়াল ব্লু’রা৷

https://p.dw.com/p/11LF9
কাপ জয়ের উল্লাসছবি: AP

জার্মান কাপের ফাইনালে ৫-০ গোলের ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড একমাত্র শালকের৷ এর আগে ১৯৭২ সালেও কাইজারলাউটার্নকে ৫-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলেছিল তারা৷ আর এবার সেই রেকর্ডের পুনরাবৃত্তি করল ডুইসবুর্গের ঘাড়ে চেপে৷ এই জয়ের ফলে ইউরোপা লিগেও নিজেদের জায়গা পাকাপোক্ত করল শালকে৷ যদিও বুন্ডেসলিগার চলতি মৌসুম তাদের শেষ করতে হয়েছে ১৪তম ঘরে থেকেই৷

শনিবার বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ফাইনালের ১৮ মিনিটেই প্রথম গোল করেন শালকের সবচেয়ে কম বয়সি তারকা ইয়ুলিয়ান ড্রাক্সলার৷ পেরুভিয়ান তারকা জেফারসন ফারফানের এগিয়ে দেওয়া বলটিকে ১৬ মিটার দূর থেকে চমৎকারভাবে জালে জড়িয়ে দেন ১৭ বছর বয়সি ড্রাক্সলার৷ মাত্র চার মিনিট পর আবারও ফারফানের তুলে দেওয়া বলে গোল করেন ডাচ স্ট্রাইকার ক্লাস-ইয়ান হুন্টেলার৷ তাঁর দ্বিতীয় গোলটি আসে ৭০ মিনিটে৷ এর মধ্যে ৪২ মিনিটে বেনেডিক্ট হোয়েভেডেসের হেড থেকে একটি এবং ৫৫ মিনিটে অপর গোলটি করেন ইয়ুরাডো৷ ফলে জার্মান কাপের চতুর্থতম ফাইনালেও হারতে হলো বেচারা ডুইসবুর্গারদের৷

জার্মান জাতীয় দলের গোলরক্ষক মানুয়েল নায়ারকে শনিবার খুব একটা বল ঠেকাতে হয়নি৷ কারণ শুরু থেকেই ডুইসবুর্গের গোলরক্ষককে একেবারে পেরেশান রেখেছিল শালকে৷ ফলে অধিনায়ক হিসেবে দলের জয়কে বেশ ভালমতই উপভোগ করতে পেরেছেন নায়ার৷ আর শেষে জার্মান প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিয়ান ভুল্ফ এবং জাতীয় দলের কোচ ইয়োয়াখিম লোয়েভের কাছ থেকে শিরোপা নিয়ে স্বপ্ন পূরণ করেন৷

২৫ বছর বয়সি নায়ার বলেন, ‘‘আমি প্রতিটি মুহূর্তই খুব উপভোগ করছি৷ কারণ এটা যেন একটা দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ৷'' তবে বাল্যকালের ক্লাব শালকের হয়ে জার্মান তারকা নায়ারের হয়তো এটিই শেষ ম্যাচ৷ কারণ ২০১২ সালেই শালকের সাথে তাঁর চুক্তির সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে৷ আর ওদিকে প্রায় আড়াই কোটি ইউরো নিয়ে নায়ারকে স্বাগত জানানোর জন্য প্রতীক্ষার প্রহর গুণছে বায়ার্ন মিউনিখ৷ তবে শনিবার তাঁর এই ঘর বদলের প্রসঙ্গে মুখ খুলতে চাননি নায়ার কিংবা শালকে ম্যানেজার হোর্স্ট হেল্ট কেউই৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়