1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নৌবহরে হামলার পর ইসরায়েলের উপর চাপ বাড়ছে

১ জুন ২০১০

সোমবার ভোররাতে ত্রাণবাহী নৌবহরের উপর ইসরায়েলের কমান্ডো অভিযানের ফলে কমপক্ষে ১০ জন নিহত ও অনেকে আহত হয়েছে৷ এই ঘটনার ফলে আন্তর্জাতিক স্তরে দেখা যাচ্ছে তীব্র প্রতিক্রিয়া৷

https://p.dw.com/p/NeLR
কমান্ডো অভিযানের আগে সেই ‘মাভি মারমারা’ জাহাজছবি: AP

তুরস্কের টেলিভিশন ও ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর হামলার ঘটনার কিছু ভিডিও চিত্র প্রকাশ করেছে৷ কিন্তু তাতে যে দৃশ্য দেখা যাচ্ছে, সে সম্পর্কে ইসরায়েল ও অন্যান্যদের বক্তব্যের কোনো মিল নেই৷ ইসরায়েলের দাবি, কমান্ডো অভিযানের শুরুতেই সৈন্যদের উপর অস্ত্রসহ হামলা চালানো হয়েছিল৷ অন্যদিকে তুরস্কের দাবি, রওনা হওয়ার আগে জাহাজের আরোহী ও মালপত্র তল্লাশি করে দেখা হয়েছিলো৷ সেসময়ে কোনো অস্ত্রশস্ত্র পাওয়া যায় নি৷ আপাতত নৌবহরের সবকটি জাহাজকে ইসরায়েলের অ্যাশদদ বন্দরে আনা হয়েছে৷

বলাই বাহুল্য, কূটনৈতিক স্তরে ইসরায়েল এমন চাপের মুখে পড়েছে, যা এক কথায় অভূতপূর্ব৷ মঙ্গলবার ন্যাটোর এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে৷ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইতিমধ্যেই এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ প্রায় সব সদস্যই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি করছেন৷ গাজার উপর থেকে ইসরায়েলের ৩ বছরের অবরোধ তুলে নেওয়ার ডাক দিচ্ছে জার্মানি সহ অনেক দেশ৷ তবে এখনো কোনো প্রস্তাবের খসড়া সম্পর্কে চূড়ান্ত ঐক্যমত অর্জন করা সম্ভব হয় নি৷ বৈঠকে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ দাভুতোগলু বলেন, ‘‘এই পদক্ষেপ একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়৷ ইসরায়েল তার পদক্ষেপের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে৷ সহজ ভাষায় একে ডাকাতি ও জলদস্যুতা বলা যেতে পারে৷ রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে হত্যা করা হয়েছে৷ এর পক্ষে কোনো অজুহাত, কোনো যুক্তি থাকতে পারে না৷’’

Israel, Solidaritätsflotte, Gaza, NO FLASH
ইসরায়েলি যুদ্ধজাহাজ থেকে তোলা দৃশ্যছবি: AP

সিরিয়ার উদ্যোগে মঙ্গলবার কায়রোয় আরব লিগ’এর এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা৷ শত্রুতা ভুলে পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ গাজার প্রতি সংহতি দেখাতে ৩ দিনের শোক ঘোষণা করেছে৷ তুরস্কে ব্যাপক প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলছে৷ নিহতদের মধ্যে তুরস্কের নাগরিকদের থাকার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷

গাজায় অবরোধ, সৈন্যদের উপর হামলা এবং তাদের আত্মরক্ষার প্রচেষ্টার বিষয়টি নিয়ে ইসরায়েলে তেমন বিতর্ক না দেখা গেলেও গোটা অভিযানের সার্থকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷ সমালোচকরা বলছেন, গাজায় ত্রাণ পাঠানোর এই প্রচেষ্টা বন্ধ করতে বিকল্প অনেক পথ খোলা ছিল৷ তাছাড়া এমন এক সামরিক অভিযানের ঝুঁকি সম্পর্কে আগেই ভাবা উচিত ছিলো৷ নৌবহর থামানো সম্ভব হলেও এই ঘটনার ফলে ইসরায়েলের ভাবমূর্তি যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার ফলে ইসরায়েলের নৈতিক ক্ষতি হলো বলে অনেকে সমালোচনা করছেন৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়