নেতা ও প্রশাসন যখন হাতের নাগালে
সোশ্যাল মিডিয়া দক্ষিণ এশিয়ায়ও সরকার ও প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ দিচ্ছে৷ মিডিয়া ও লাল ফিতের ফাঁস এড়িয়ে এই প্রত্যক্ষ সংলাপের সুযোগ নিচ্ছেন নেতা, মন্ত্রীসহ শীর্ষস্তরের অনেকে৷
সুষমা স্বরাজ
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে টুইট করে হাতেনাতে ফল পেয়েছেন, এমন ভারতীয় নাগরিকের সংখ্যা কম নয়৷ বিদেশের মাটিতে সংকটে পড়া থেকে শুরু করে মধুচন্দ্রিমার ঠিক আগে সদ্যবিবাহিত স্ত্রীর পাসপোর্ট অন্তর্ধান – এমন অনেক পরিস্থিতিতে মুশকিল আসান হিসেবে পাশে দাঁড়িয়েছেন স্বরাজ৷
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অ্যাপ
আপদকালীন পরিস্থিতিতে ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমতাসীন মন্ত্রী বা শীর্ষ আমলার টুইটার অ্যাকাউন্ট মনে রাখা অনেক সময়ে কঠিন হতে পারে৷ তাই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিশেষ অ্যাপ চালু করেছে৷ বিদেশে সংকটে পড়লে যে কোনো ভারতীয় নাগরিক এর সাহায্যে নিকটবর্তী দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন৷
নরেন্দ্র মোদী
ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়ে নরেন্দ্র মোদী সংবাদমাধ্যমকে যতটা সম্ভব এড়িয়ে ফেসবুক, টুইটারকেই নিজের বার্তা পৌঁছে দেবার প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন৷ পিএমও বা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর প্রায় ২৪ ঘণ্টাই সজাগ থাকে৷ সরাসরি যোগাযোগ করলে অনেক ক্ষেত্রেই কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যায়৷
শশী থারুর
ভারতের রাজনৈতিক জগতে টুইটার ব্যবহারের পথিকৃৎ বলা যেতে পারে সাবেক কূটনীতিক, লেখক ও কংগ্রেস নেতা শশী থারুরকে৷ বিগত সরকারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে তিনিও সরাসরি অনেক মানুষের সহায়তা করতে পেরেছিলেন৷ অন্যদিকে নানা মন্তব্যের কারণে বার বার সমস্যায় পড়েছেন তিনি৷
বিপর্যয়ের সময় টুইটার
২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে ভারতের দক্ষিণে চেন্নাই শহরে ভয়াবহ বন্যায় গোটা শহর বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল৷ সরকার, প্রশাসন ও নৌ-বাহিনী সহায়তা ও ত্রাণ তৎপরতার কাজে টুইটার-কে অত্যন্ত সফলভাবে ব্যবহার করতে পেরেছিল৷ #ChennaiRains এবং #ChennaiRainsHelp হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে বিচ্ছিন্ন জলবন্দি মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়েছিল৷
সরকারি পরিষেবার ‘টুল’
ভারতীয় রেল বিশ্বের অন্যতম বিশাল ও জটিল এক পরিবহণ নেটওয়ার্ক৷ যাবতীয় সদিচ্ছা সত্ত্বেও যাত্রীদের অভিযোগের শেষ নেই৷ ভারতীয় রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু তাই ফেসবুক ও টুইটারের এক সার্বিক প্ল্যাটফর্ম চালু করেছেন৷ এর মাধ্যমে নানা বিষয় নিয়ে সরাসরি রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব৷
সজীব ওয়াজেদ জয়
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ফেসবুক এবং টুইটারে বেশ সক্রিয়৷ তাঁর ফেসবুক পেজের স্ট্যাটাস প্রায়ই খবর হয়৷ তিনি প্রয়োজন হলে বিভিন্ন বিষয়ের ব্যাখ্যা এবং তথ্য দেন সেখানে৷