1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নুরেমবার্গ ট্রায়ালের আদালত পরিণত হল মিউজিয়ামে

২৩ নভেম্বর ২০১০

রবিবার নুরেমবার্গ ট্রায়াল আদালতকক্ষটির মিউজিয়াম হিসেবে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে৷ এই আদালতেই হিটলারের নাৎসি শাসনের সঙ্গে জড়িত বারো জন শীর্ষ কর্মকর্তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল৷

https://p.dw.com/p/QFo4
নুরেমবার্গ ট্রায়ালের আদালত এখন মিউজিয়ামছবি: AP

এই মিউজিয়ামের নাম দেয়া হয়েছে মেমোরিয়াম৷ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেজার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ৷ এছাড়াও ব্রিটিশ অ্যাটর্নি জেনারেল ডোমিনিক গ্রিভ, মার্কিন দূত স্টিফেন রাপ এবং সাবেক ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোনাল্ড দুমাও যোগ দেন৷ এই আদালতে নাৎসি কর্মকর্তাদের বিচার প্রসঙ্গে ভেস্টারভেলে বলেন, ‘অন্যায়, অত্যাচার এবং হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সুউচ্চ কন্ঠ হচ্ছে নুরেমবার্গ ট্রায়াল৷'

নুরেমব্যার্গ ট্রায়ালের ৬৫তম বার্ষিকী

২০ নভেম্বর ছিল নুরেমবার্গ বিচারকাজের ৬৫তম বার্ষিকী৷ বিশিষ্ট ২২ জন নাৎসি কর্মকর্তার বিচার শুরু হয়েছিল এক আন্তর্জাতিক সামরিক ট্রাইবুনালে৷ এরকম ট্রইবুনাল সেই প্রথম৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই নুরেমবার্গের আদালতে শীর্ষ নাৎসি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়৷ যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের কারণে বিচার হয় তাদের৷ বিচারাধীনদের মধ্যে ছিল সামরিক কর্মকর্তা, রাজনীতিক, অর্থনৈতিক উপদেষ্টা৷ জার্মানির বাভারিয়া রাজ্যের নুরেমবার্গ শহরে ১৯৪৫ সালের ২০শে নভেম্বর শুরু হয় এই বিচার৷

মানবাধিকার লংঘন, ইহুদিদের ওপর নিধনযজ্ঞ চালানো, বিভিন্ন কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে ইহুদিদের পাঠানো, লুকিয়ে থাকা ইহুদি পরিবারদের খুঁজে বের করা, বৈষম্য – এসব অভিযোগ আনা হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে৷

তবে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর পর এদের ভেতর কোন ধরণের অনুশোচনা ছিল না বলে প্রকাশ৷ তারা এসব অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিল না বলে জানায়৷ এরা সবাই নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে৷

সাক্ষ্য, সাক্ষী আর নথিপত্রের ছড়াছড়ি

আদালতের বিচারকদের আনা হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের চার মিত্র শক্তি অ্যামেরিকা, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন, ফ্রান্স এবং ব্রিটেন থেকে৷ প্রধান কৌঁসুলি ছিলেন মার্কিন আইনজীবি রবার্ট জ্যাকসন৷ নুরেমবার্গ আদালতে বিচার কার্য চলে প্রায় ২১৮ দিন ধরে৷ হাজির করা হয় ২৩৬ জন সাক্ষী, উপস্থিত করা হয় প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার নথিপত্র৷ এর সঙ্গে আসে প্রায় দুই লক্ষ সাক্ষ্যসহ লিখিত অভিযোগপত্র৷ আড়াই হাজার পাতার প্রটোকল নথিপত্রের সাহায্যে তুলে ধরা হয়৷

১৯৪৬ সালের ১অক্টোবর আদালত রায় ঘোষণা করে৷ সাতজন আসামীকে কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়, ১২ জনকে দেওয়া হয় মৃত্যুদণ্ড৷ বেকসুর খালাস পায় মাত্র তিন জন৷ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের একজন, হ্যারমান গ্যোয়েরিং মৃত্যদণ্ড কার্যকর হবার আগেই তাঁর সেলে সায়ানাইড ক্যাপসুল খেয়ে আত্মহত্যা করেন৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল-ফারূক