নীলের চেয়েও ঘননীল টনি মরিসন লিজিয়ঁ দ অনর
৪ নভেম্বর ২০১০লা লিজিয়ঁ দ অনর৷ শিল্পকলা রসিক ফরাসি দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্মান৷ সেই সম্মানে সম্মানিত হলেন বুধবার টনি মরিসন৷ সেই টনি মরিসন, ১৯৯৩ সালে যাঁর উপন্যাস ‘দ্য ব্লুয়েস্ট আই' নোবেল সাহিত্য পুরষ্কার জিতে নিয়েছিল৷ নোবেল যখন জেতেন, তখন কৃষ্ণাঙ্গী এই লেখিকার বয়স খুব একটা বেশি ছিল না৷ নোবেলজয়ী তাঁর এই উপন্যাসের নামটির বাংলা করলে হয় ‘নীলের চেয়েও ঘননীল'৷
নিজে আফ্রিকার মানুষ৷ তাঁর রচনাতে তাই উঠে আসে সেই কালো মানুষদের দিনলিপি৷ নোবেলজয়ী দ্য ব্লুয়েস্ট আই উপন্যাসে যেমন, দাসত্বের অবর্ণনীয় যন্ত্রণায় গভীরে কেঁদে চলা এক নারীর মর্মন্তুদ কাহিনী লিখে বিশ্বকে চমকে দিয়েছিলেন টনি৷ তারপরেও তাঁর রচনা বড় সুখপাঠ্য৷ অনায়াস৷ অতি সহজে বুকের গভীরে শিকড় চারিয়ে দেয় তাঁর গল্প বলার ভাষা, কবিতার চালে যার চলন বড় ছন্দময়৷
টনি মরিসনের ‘বিলভেড' উপন্যাসটা ১৯৮৮ সালে পুলিৎজার জিতে নেয়৷ তারপর '৯৩-তে নোবেল৷ আর এবার হয়ে গেল লা লিজিয়ঁ দ্য অনার৷ প্যারিসের আলোকোজ্জ্বল বিদ্বৎজন সভায় বুধবার সন্ধ্যায় পুরষ্কার দেওয়ার ভাষণে ফরাসি সংস্কৃতিমন্ত্রী ফ্রেদেরিক মিতেরঁ মনে করিয়ে দিলেন, ওহিও-র এক দরিদ্র কৃষ্ণাঙ্গ পরিবারের ছোট্ট মেয়েটি কীভাবে গোটা বিশ্বের হৃদয় জিতে নিয়েছেন তাঁর লেখনীতে৷ বস্তুত, গত শতাব্দের সেরা মার্কিন লেখিকা টনি মরিসনের নিজের জীবনটাও উপন্যাসের চেয়ে কোন অংশে ন্যুন নয়৷
আর প্যারিসের প্রতি, ফরাসিদের প্রতি নিজের ভালোবাসার কথা বললেন লেখিকা স্বয়ং৷ বললেন, এবার থেকে প্যারিসে আসার আরও একটা কারণ তৈরি হল তাঁর হৃদয়ে৷ কারণ তিনি এখন এখানে সম্মানিত৷
শীর্ষ ফরাসি সম্মান তাই এবার যোগ্য হাতেই৷
প্রতিবেদনঃ সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনাঃ হোসাইন আব্দুল হাই